রমজানে সফরের বিশেষ প্রয়োজন হলে রোজা না রাখার বিধান রয়েছে। পরবর্তীতে কাফফারা ছাড়া শুধু রোজার কাজা করে নিতে হবে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আর কেউ অসুস্থ কিংবা সফরে থাকলে অন্য সময় এই সংখ্যা পূরণ করবে।’ -(সুরা বাকারা, আয়াত, ১৮৫)

কোনও ব্যক্তি সফরের নিয়তে রোজা ভেঙ্গে ফেলার পর তার সফর বাতিল হলে করণীয় কী?- এ বিষয়ে আলেমরা বলেন, সফরের নিয়তের পর কেউ নিজ শহর ও বাড়ি-ঘরের সীমানা অতিক্রম করার আগে ‘মুসাফির’ হিসেবে গণ্য হয় না। 

তাই শুধু সফরের নিয়ত করলেই মুসাফিরের বিধান অথার্ৎ, রোজা না রাখা, নামাজের কসর আদায়ের বিধান আরোপিত হয় না। বরং নিজ শহর এবং শরীয়ত নির্ধারিত সীমনা অতিক্রম করার পরই এই বিধানগুলো আরোপিত হয়।

তাই কেউ সফরের নিয়ত করার পর যতক্ষণ পর্যন্ত নিজ শহর ও বাড়ি-ঘর থেকে বের হবে না ততক্ষণ তিনি মুকীম অর্থাৎ বাড়িতে অবস্থানকারী ব্যক্তির মতো পুরো নামাজ পড়বেন এবং রোজা রাখবেন

শাইখ ইবনে উসাইমীনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, কোনও ব্যক্তি যদি সফরের নিয়ত করার পর নিজ বাড়িতেই রোজা ভেঙে ফেলেন এবং এরপর সফরে বের হন তাহলে তার উপর কাফফারা দেয়া কি ওয়াজিব?

উত্তরে তিনি বলেন, তার জন্য নিজ বাড়িতে রোজা ভাঙা করা হারাম। কিন্তু তিনি যদি সফরে বের হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে রোজা ভেঙে থাকেন তাহলে তাকে শুধু রোজার কাজা করতে হবে। (ফাতাওয়াআস-সিয়াম (পৃঃ১৩৩, আশ-শারহুল-মুমত্বি (৬/২১৮)

সূত্র : ইসলাম, সুওয়াল ওয়া জাওয়াব