হাজিদের ওপর কয়টি কোরবানি আবশ্যক?
হজ এবং কোরবানি দুইটিই গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। একটি ফরজ এবং অপরটি ওয়াজিব। কোনও সুস্থ মস্তিস্ক, প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলিমের কাছে মক্কায় আসা-যাওয়া পরিমাণ সম্পদ বা টাকা থাকলে তার ওপর হজ ফরজ। তবে এই সম্পদ অবশ্যই নিজ পরিবারের প্রয়োজনীয় খরচের অতিরিক্ত হতে হবে।
অপরদিকে কারও কাছে জিলহজের ১০ থেকে ১২ তারিখ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে নিসাব পরিমাণ অর্থাৎ সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ বা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রৌপ্যের মূল্যের সমপরিমাণ টাকা বা সম্পদ থাকলে কোরবানি করা ওয়াজিব।
বিজ্ঞাপন
কোরবানি এবং হজ দুটি ইবাদতই প্রায় কাছাকাছি সময়ে আদায় হয়ে থাকে। অর্থাৎ হজের মূলকার্যক্রম শুরু হয় ৮ জিলহজ থেকে। যা চলমান থাকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত। এদিকে কোরবানি করতে হয় ১০ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে।
হজের সময়গুলোতে মক্কায় অবস্থানকারী হাজীদের ওপর কয়টি কোরবানি আদায় করা অবশ্যক এমন প্রশ্ন করেন অনেকে।
বিজ্ঞাপন
এর উত্তরে আলেমরা বলেন, কোনও হজ আদায়কারী যদি হজে তামাত্তু বা হজে কিরান পালন করে থাকেন, তাহলে তার উপর ‘দমে শোকর’ হিসেবে একটি কোরবানি আবশ্যক হয়। এটি ঈদুল আজহার ওয়াজিব কোরবানি নয়। বরং এটি হজের দমে শোকর বা হজের কোরবানি।
হজে তামাত্তু ও হজে কিরানের ক্ষেত্রে এটি ওয়াজিব আমল। আর দমে শোকর সৌদি আরবের মক্কাতেই আদায় করতে হবে। অন্য কোথাও আদায় করলে হবে না।
হাজীদের কোরবানির ক্ষেত্রে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো- হজ আদায়কারী ব্যক্তি যদি মক্কায় পনের দিন থাকার নিয়ত না করে, তাহলে সে মুসাফির। মুসাফিরের উপর ঈদুল ফিতরের কোরবানি আবশ্যক হয় না। তাই এমন হজযাত্রীর জন্য মক্কা অথবা নিজ দেশে কোনও কোরবানি আদায়ের আবশ্যকতা থাকবে না।
তবে যদি হজপালনকারী মক্কায় পনের দিন থাকার নিয়ত করে, তাহলে সেই হাজি মুকীম হয়ে যাবে। তখন তার কাছে নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকলে তার জন্য ঈদুল আজহার কোরবানি করা আবশ্যক। এই কোরবানি সে চাইলে মক্কায় অথবা নিজ দেশেও আদায় করতে পারবে। (আদ্দুররুল মুখতার ৮/৪৩৪, আল-আল বাহরুর রায়েক, ৮/৩১৮, আল-জাওহিরাতুন-নাইয়িরাহ, ২/২৬৭)
এনটি