প্রতীকী ছবি

সালাম মুসলিম সংস্কৃতির অংশ। মুসলিমেরা একে অপরকে অভিবাদন জানিয়ে থাকেন সালামের মাধ্যমে। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘যখন তোমরা ঘরে ঢুকবে নিজেদের লোকদের সালাম করবে কারণ এটা সাক্ষাতের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রদত্ত বরকতপূর্ণ ও পবিত্র দোয়া। (সুরা নুর, আয়াত : ৬১)

আরেক আয়াতে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, ‘হে মুমিনগণ! নিজ ঘর ছাড়া অন্যের ঘরে প্রবেশ করো না, যতক্ষণ না অনুমতি গ্রহণ করো এবং তার বাসিন্দাদের সালাম দাও।’ (সুরা নুর, আয়াত : ২৭)

সালামের জবাব কীভাবে দিতে হবে তাও শেখানো হয়েছে পবিত্র কোরআনে। কোরআনে বলা হয়েছে, ‘যখন তোমাদের কেউ সালাম দেয়, তখন তোমরা (তাকে) তদপেক্ষা উত্তমরূপে সালাম (জবাব) দাও, কিংবা (অন্ততপক্ষে) সে শব্দেই সালামের জবাব দাও।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ৮৬)

কেউ সালাম দিলে তাকে শুনিয়ে উত্তর দেওয়া ওয়াজিব। তবে কোনো কারণবশত শুনিয়ে উত্তর দেওয়া সম্ভব না হলে মুখে উচ্চারণের সাথে সাথে ইশারায় উত্তর বুঝিয়ে দিলে ওয়াজিব আদায় হয়ে যাবে, নেইলে ওয়াজিব আদায় হবে না। সাথে সাথে সালামের উত্তর উত্তম পন্থায় বাড়িয়ে দেওয়া সুন্নত।

অর্থাৎ, কেউ আসসালামু আলাইকুম বললে, উত্তরে ওয়ালাইকুম আস ওয়া রাহমাতুল্লাহ বলা উচিত। (ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত, খণ্ড ১২, ৯৩)

কখনো কখনো অপছন্দের মানুষ সালাম দিলে অনেকে তার উত্তর প্রদান করে না। অথচ অপছন্দনীয় ব্যক্তির সালামের উত্তর দেওয়াও ওয়াজিব।

অনেক সময় কেউ কেউ সালামের উত্তর দিয়ে আবার সালাম দেন। এমনটা করা উচিত নয়। কারণ, উত্তম হলো, ব্যক্তি আগে সালাম দেবে। কিন্তু কেউ যদি সালাম দিয়ে ফেলে তবে শুধু সালামের উত্তর দেওয়াই দায়িত্ব। পুনরায় সালাম দেওয়া অগ্রহণযোগ্য।

এনটি