উপার্জনে হালাল-হারাম জরুরি যে কারণে
প্রতীকী ছবি
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, নবীজি সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহ পবিত্র, তিনি পবিত্র ছাড়া অন্য কিছু গ্রহণ করেন না। আর আল্লাহ মুমিনদেরকে সেই কাজের নির্দেশ দিয়েছেন, যার নির্দেশ নবীদেরকে দিয়েছেন। সুতরাং মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘হে রাসূলগণ! তোমরা পবিত্র বস্তু থেকে আহার কর এবং সৎকাজ কর।’ ( সূরা, মুমিনূন, আয়াত, ৫১)
তিনি আরো বলেন, ‘হে বিশ্ববাসীরা! আমি তোমাদেরকে যে রিজিক দিয়েছি তা থেকে পবিত্র বস্তু আহার কর এবং আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর; যদি তোমরা শুধু তারই উপাসনা করে থাক।’ ( সূরা বাকারা, আয়াত, ১৭২)
বিজ্ঞাপন
এরপর তিনি সেই লোকের কথা উল্লেখ করে বললেন, যে এলোমেলো চুলে, ধূলামলিন পায়ে সুদীর্ঘ সফরে থেকে আকাশ পানে দু’ হাত তুলে ‘ইয়া রব্ব! ‘ইয়া রব্ব্!’ বলে দোয়া করে। অথচ তার খাবার হারাম, তার পানীয় হারাম, তার পোশাক-পরিচ্ছদ হারাম এবং হারাম বস্তু দিয়েই তার শরীর পুষ্ট হয়েছে। তবে তার দোয়া কিভাবে কবুল করা হবে? (সহিহ মুসলিম, ২২৩৬)
এই হাদিসের মাধ্যমে বুঝানো হয়েছে, আল্লাহ তায়ালা সবধরনের দোষ ও দুর্বলতা থেকে পবিত্র। তিনি জামাল, কামাল ও জালালের গুণে গুনান্বিত। কেউ হারাম বা যাতে সংশয় রয়েছে বা নষ্ট খাবার, দান ও সাদকাহ করে তার নৈকট্য লাভ করতে পারবে না।
বিজ্ঞাপন
তাই আল্লাহ মুমিনদের পবিত্র বস্তু থেকে খানা গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। যেমনিভাবে নেক আমলের সঙ্গে এবং আল্লাহর নিয়ামাতের শুকরিয়া আদায়ের সঙ্গে রাসূলদের জন্য তা বৈধ করেছেন।
এই হাদিসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একথাও বলেছেন যে, আল্লাহ তায়ালা যেভাবে পবিত্র জিনিম ব্যয় করাকে পছন্দ করেন একইভাবে আল্লাহ আমলের ক্ষেত্রেও পবিত্র আমল ছাড়া পছন্দ করবেন না। আর ইখলাস ও আনুগত্য ছাড়া কোনো আমল পবিত্র হয় না।
এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মতকে হারাম থেকে সতর্ক করার জন্য এমন একজনের উদাহরণ এনেছেন, যে দীর্ঘ সফর করে অর্থাৎ হজ, জিহাদ, জীবনাপুকরণ অর্জন ইত্যাদির উদ্দেশ্যে দীর্ঘ সফর করে তার চুল এলোমেলো, সুদীর্ঘ সফরে কারণে ধূলামলিন পা। সে আকাশ পানে দু’হাত তুলে দোয়া করে, আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করে এবং আল্লাহর সামনে নিজেকে অপমান অপদস্থ করে তারপরও তার দোয়া কবুল হওয়া থেকে দূরে রাখা হয়। কারণ, তার উপার্জন হারাম, যেমন তার খাবার হারাম, তার পানীয় হারাম।
এনটি