অজুতে পানি অপচয় থেকে বেঁচে থাকবেন যে কারণে
প্রতীকী ছবি
পবিত্র পানি দিয়ে নির্দিষ্ট অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ধৌত করার মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন করাকে অজু বলে। অজু করলে বিভিন্ন অঙ্গের পাপ মুছে যায়।
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, 'যখন কোন মুসলিম বা মুমিন বান্দা অজুর সময় মুখমণ্ডল ধোয়, তখন তার চোখ দিয়ে তার করা পাপরাশি পানির সঙ্গে কিংবা পানির শেষবিন্দুর সঙ্গে বের হয়ে যায়। আর যখন সে তার দুই হাত ধৌত করে তখন হাত দিয়ে করা গুনাহগুলো পানির সঙ্গে বা পানির শেষ ফোটার সঙ্গে ঝরে যায়। এরপর সে যখন তার পা দু’টি ধৌত করে, তখন তার দু'পা দিয়ে করে গুনাহ পানির সঙ্গে বা পানির শেষ বিন্দুর সঙ্গে বেরিয়ে যায়। এমনকি সে তার যাবতীয় (সগীরা) গুনাহ থেকে মুক্ত ও পরিষ্কারপরিচ্ছন্ন হয়ে যায় । (মুসলিম, হাদিস, ২৪৪)।
বিজ্ঞাপন
টিউবওয়েল, ট্যাপকল, পানির পাত্র- বিভিন্ন মাধ্যমে মানুষজন অজু করে থাকে। অজু করতে গিয়ে অনেক সময় প্রচুর পরিমাণে পানি অপচয় হয়। যা কোনোভাবে উচিত নয়। অনেক বেশি পরিমাণে পানি থাকলেও অজুর সময় পানি অপচয়ের সুযোগ নেই। কারণ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন কাজ করতে নিষেধ করেছেন।
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, ‘একদিন মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হজরত সাআদ রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুর পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন তিনি অজু করছিলেন। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, ‘এই অপচয় কেন করছ?’ তিনি বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, অজুতেও কি অপচয় আছে?’ তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ অবশ্যই, যদিও তুমি প্রবহমান নদীতে থাকো!’ (ইবনে মাজাহ)
তাই সব সময় পরিমিত পানি ব্যবহার করে অজু করা সুন্নত। হজরত আনাস ইবনে মালিক রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, ‘মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাধারণত এক “মুদ্দ” পানি দিয়ে অজু করতেন।’ (মুসলিম) মুহাদ্দিসগণের মতে, এক মুদ্দ সমান ৬২৫ গ্রাম।
একদিন হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মুগাফ্ফাল রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তার ছেলেকে বললেন, ‘হে বৎস, আল্লাহর কাছে জান্নাত প্রার্থনা করো এবং জাহান্নামের আগুন থেকে আশ্রয় চাও। কারণ, আমি মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, শিগগিরই এই উম্মতের মধ্যে এমন একদল লোকের আবির্ভাব ঘটবে, যারা দোয়ার ক্ষেত্রে ও অজুর (পানি ব্যবহার) ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করবে।’ (আবু দাউদ)
এনটি