কিবলার দিকে পিঠ দিয়ে অজু করা কি ঠিক?
প্রতীকী ছবি
নামাজ ছাড়াও আরও বেশ কিছু ইবাদতের জন্য অজু করা আবশ্যক। তবে ইবাদত ছাড়াও সবসময় অজু করা এবং অজু অবস্থায় থাকা একটি ভালো কাজ। সবসময় অজু অবস্থায় থাকার বিশেষ ফজিলত রয়েছে। যিনি এই আমল নিয়মিত করবেন তার জন্য শহীদের মর্যাদার সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে।
এক হাদিসে হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে বলেছিলেন, ‘হে আমার বেটা! সম্ভব হলে সবসময় অজু অবস্থায় থাকবে। কেননা মৃত্যুর ফেরেশতা অজু অবস্থায় যার জান কবজ করেন তার শাহাদাতের মর্যাদা লাভ হয়।’ (শুয়াবুল ঈমান, বায়হাকি, হাদিস, ২৭৮৩)।
বিজ্ঞাপন
অজু করার সময় এমন কিছু কাজ আছে যা আদায় করলে সওয়াব হবে, কিন্তু আদায় না করলে কোনো গুনাহ হবে না। এই কাজগুলোর একটি হলো- কিবলার দিকে বসে অজু করা। (আল ফিকহুল ইসলামী : ১/৩৫২)
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
তবে কিবলার দিকে মুখ করে বা পিঠ দিয়ে পেশাব পায়খানা করা শরিয়তের দৃষ্টিতে বৈধ নয়। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
إِذَا أَتَيْتُمُ الْغَائِطَ فَلَا تَسْتَقْبِلُوا الْقِبْلَةَ بِغَائِطٍ وَلَا بَوْلٍ، وَلَا تَسْتَدْبِرُوهَا
‘তোমরা যখন মলত্যাগ করতে যাও, তখন মলত্যাগ বা পেশাবের সময় কিবলাকে সামনে বা পেছনে রেখে বসো না।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস, ৮)
হাদিসে কিবলার দিকে পিঠ করে পেশাব পায়খানা করতে নিষেধ করা হয়েছে। অন্য কোনো কাজের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা উচ্চারণ করা হয়নি। তাই কিবলার দিকে পিঠ দিয়ে অজু করতে কোনো সমস্যা নেই। তবে একজন মুসলিমের উচিত জীবনে যেকোনো কাজ করার ক্ষেত্রে সুন্নত এবং মুহাস্তাবগুলোর প্রতি যত্নশীল হওয়া। কারণ এসব আমল কিয়ামতের কঠিন দিনে তার আমলনামাকে ভারি করতে সাহায্য করবে।
এনটি