জায়নামাজে বিড়াল উঠে গেলে অপবিত্র হবে কি?
বিড়াল একটি গৃহপালিত আদুরে প্রাণী। বর্তমানে কমবেশি সবাই বিড়াল পালেন। বিড়ালের পেছনে অনেক ব্যয় করেন। সর্বোচ্চ যত্ন করার চেষ্টা করেন। বিড়াল পালনের ক্ষেত্রে ইসলামের বিধিও তাই যে, বিড়ালকে পর্যাপ্ত খাদ্য-পানীয় সরবরাহ করতে হবে। বিড়ালের প্রতি যথাযথ দয়া-অনুগ্রহ দেখাতে হবে। বিড়ালকে কোনো ধরনের কষ্ট দেওয়া যাবে না।
রাসুল (সা.) নিজের ওজুর পাত্র থেকে বিড়ালকে পানি পান করানোর কথা হাদিসে উল্লেখ রয়েছে। প্রখ্যাত সাহাবি আবু হুরায়রা (রা.)-এর বিড়ালপ্রীতির কথাও প্রসিদ্ধ। তাঁর নাম আব্দুর রহমান হলেও বিড়ালের প্রতি তার ভালোবাসার কারণে রাসূল সা. তাঁকে দিয়েছিলেন আবু হুরায়রা নাম।
বিজ্ঞাপন
বিড়াল বা যেকোনো প্রাণীকে কখনো কষ্ট দেওয়া যাবে না। প্রাণীকে কষ্টদাতার জন্য হাদিসে কঠিন হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করা হয়েছে। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে—
এক মহিলাকে একটি বিড়ালের জন্য আজাব দেওয়া হয়েছে। কারণ, বিড়ালটিকে আটকে রাখায় সেটি মারা গিয়েছিল। ফলে সে জাহান্নামে গেছে। বিড়ালটিকে সে আটকে রেখে সে খাবার-পানীয় দেয়নি। আবার ছেড়েও দেয়নি যাতে করে জমিনের পোকামাকড় খেয়ে বাঁচতে পারে। (মুসলিম, হাদিস : ৫৭৪৫) তাই বিড়াল পালনের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
আদুরে এই প্রাণীটি মানুষের ঘরে, বিছানায় সব জায়গায় বিচরণ করে। যারা বিড়াল পোষেন তাদের সঙ্গে সখ্যতার কারণে বিড়াল অনেক সময় জায়নামাজেও উঠে যায়। যেমন একজন প্রশ্ন করেছেন—
আমাদের বাড়িতে একটি পোষা বিড়াল আছে। এটি সাধারণত ঘরের বাইরে যায় না। মাঝেমধ্যে নামাজের সময় সে আমাদের জায়নামাজে চলে আসে। অনেক সময় গায়ের সঙ্গে তার শরীর লেগে যায়। প্রশ্ন হলো, নামাজের সময় পোষা বিড়াল শরীর ও জায়নামাজে উঠে গেলে কি শরীর বা জায়নামাজ অপবিত্র হয়?
এ বিষয়ে ইসলামী আইন ও ফেকাহ শাস্ত্রবিদদের মতামত হলো— যদি বিড়ালের শরীরে ভেজা অপবিত্র কিছু লেগে থাকে এবং এটা নিশ্চিতভাবে জানা যায়, তাহলে বিড়াল শরীরে ঘেষে গেলে অথবা জায়নামাজে উঠলে শরীর ও জায়নামাজ অপবিত্র হবে, অন্যথায় অপবিত্র হবে না। (রদ্দুল মুহতার : ১/২০৪)