রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়ে যে বার্তা দিলেন মাওলানা তারিক জামিল
ছবি : সংগৃহীত
পবিত্র রমজান মাসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পাকিস্তানের জনপ্রিয় আলেম মাওলানা তারিক জামিল। এই মাসে হিংসা, বিদ্বেষ থেকে মুক্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে রমজানের পবিত্রতা রক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা ভাঙতে নিষেধ করেছেন তিনি।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি বলেছেন, পুরো বিশ্বের মুসলিম উম্মাহকে পবিত্র রমজান মাসের শুভেচ্ছা। এই মাসে মন থেকে সবধরনের ঘৃণা, হিংসা, বিদ্বেষ দূর করুন।
বিজ্ঞাপন
শুভেচ্ছা বার্তার পাশাপাশি তিনি এক ভিডিওতে রমজানের সুসংবাদ সম্পর্কে রাসূল সা.-এর হাদিসের আলোচনা করেন। যেখানে রাসূল সা. বলেছেন, তোমাদের সামনে রমজান মাস আসছে। এই মাসে আল্লাহ তায়ালা রহমত, বরকত ও মাগফেরাত নাজিল করেন। জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেন এবং জাহান্নামের দরজগুলো বন্ধ করে দেন এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন। শয়তানকে বন্দি করেন।
রোজার প্রতি অবহেলা না করতে হজরত আলী রা.-এর বর্ণিত হাদিসের আলোচনা করেন, যেখানে বলা হয়েছে, কেউ ইচ্ছা করে রমজানের কোনো রোজা ভাঙলে পরবর্তীতে পুরো বছর কাজা করলেও এই এক রমজানের সমান হবে না।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
প্রসঙ্গত, বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে মুসলমানদের পবিত্র মাস রমজান। সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে রমজান মাস শুরু হয়েছে শুক্রবার সন্ধ্যায় অর্ধচন্দ্র দেখার মাধ্যমে। সৌদি আরবের সুপ্রিম কোর্ট দেশটিতে শনিবার রমজান মাস শুরুর ঘোষণা দেন।
আলজেরিয়া, মিশর, জর্ডান, লিবিয়া, সুদান এবং তিউনিসিয়াও শনিবার থেকে রমজান শুরু ঘোষণা দিয়েছে। ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা, অধিকৃত পশ্চিম তীরেও রমজান শুরু হয়েছে সৌদি আরবের সঙ্গে একই দিনে। লেবাননের সুন্নি মুসলমানরাও শনিবার রোজা শুরু করেছেন।
বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত, মরক্কোসহ বেশ কয়েকটি দেশে শনিবার সন্ধ্যায় চাঁদ দেখার মাধ্যমে রোববার থেকে রমজান মাস শুরু হয়েছে। আজ দেশগুলোতে রমজান মাসের প্রথম দিন।
আরও পড়ুন
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইন্দোনেশিয়ায় শনিবার থেকে রমজান মাসশুরু হয়েছে। মালয়েশিয়া, ব্রুনাই এবং ফিলিপাইনের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোতে রোববার থেকে পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়েছে।
রমজান মাসের রোজা ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের একটি। রমজান মাসে পুরো ৩০ দিন দিনের বেলা পানাহার, ধূমপান, যৌনতা থেকে বিরত থাকেন মুসলমানরা। রমজানে তারা নেক আমল করেন এবং বেশি বেশি দান-সদকা করেন।