কালিমা, নামাজ, যাকাত, রোজ ও হজকে ‘আরকানে ইসলাম’ বলা হয়। মহানবী (সা.) বলেছেন, ইসলামের ভিত্তি পাঁচটি। ১. লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ-একথার সাক্ষ্য দেয়া। ২. যথাযথভাবে নামাজ পড়া। ৩. যাকাত আদায় করা। ৪. রমজান মাসের রোজা রাখা, ৫. কাবা শরীফের হজ করা, যদি সেখানে যাওয়ার সামর্থ থাকে। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৮)

এই পাঁচটি বিষয় ইসলামের বুনিয়াদ বা ভিত্তি হওয়ার অর্থ হলো, এগুলো ইসলামের মৌলিক ফরজ। এর উপর ভালোভাবে আমল করার মাধ্যমে ইসলামের অন্যান্য বিষয়গুলোর উপর আমল করার যোগ্যতা অর্জিত হয়।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,  যারা কাবা ঘরে পৌঁছার সামর্থ্য রাখে, তাদের উপর আল্লাহর জন্য এ ঘরের হজ করা ফরজ। আর কেউ তা পালন করতে অস্বীকার করলে করুক আল্লাহর তাতে কিছু আসবে যাবে না। আল্লাহ সমস্ত জগতবাসী হতে অমুখাপেক্ষী। (সূরা আলে ইমরান, আয়াত : ৯৭)

আয়াতটিতে হজ ফরজ হওয়ার ঘোষণা রয়েছে। হজ শুধু সামর্থ্যবান লোকদের উপরই ফরজ এদিকেও ইঙ্গিত রয়েছে, আর আয়াতের শেষ অংশে ইরশাদ হয়েছে, হজ করার শক্তি-সামর্থ্য থাকার পরও অনেকে হজ করে না, তাদের এই অন্যায় আচরণে আল্লাহ পাকের কোনো ক্ষতি হয় না। আল্লাহ তো মুখাপেক্ষিতার দোষ থেকে মুক্ত, চির অমুখাপেক্ষী।

হজ পালন করলে আল্লাহ তায়ালা আখেরাতে ক্ষমা ও জান্নাত দান করবেন। এক হাদিসে বলা হয়েছে, হজ বা উমরায় গমনকারীরা হলেন আল্লাহ তায়ালার বিশেষ মেহমান, তাদের দোয়া আল্লাহ কবুল করেন, ক্ষমা প্রার্থনা করলে ক্ষমা করে দেন। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২৯২৪)

আরেক হাদিসে বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি হজ পালন করবে, আর তাতে অভদ্র-অশ্লীল আচরণ থেকে এবং আল্লাহ তায়ালার অবাধ্যতা ও নাফরমানী থেকে বিরত থাকবে, সে ব্যক্তি হজ থেকে এমন নিষ্পাপ হয়ে ফিরে আসবে, জন্মের সময় একটি শিশু যেমন নিষ্পাপ অবস্থায় জন্ম গ্রহণ করে। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৫২১)

আরেক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, যে হজ নিষ্ঠার সঙ্গে যথানিয়মে আদায় করা হয় এবং যাতে কোনো প্রকার অনাচার যুক্ত হয় না, সেই ‘হজ মাবরুরের’ যথাযোগ্য পুরস্কার জান্নাত ছাড়া অন্য কিছুই হতে পারে না। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৭৭৩)