মসজিদে নববীর ইমাম শায়খ হুজায়ফী সম্পর্কে এই ৫ তথ্য জানেন?
মসজিদে নববীর ইমাম ও খতিবের দায়িত্বে আছেন শায়খ আলী আল হুজাইফী। তিনি শুধু একজন প্রখ্যাত আলেম নন, বরং প্রজ্ঞা, ঐক্য ও আধ্যাত্মিকতায় পথপ্রদর্শক। তার জীবন ও শিক্ষা অসংখ্য মানুষের ওপর প্রভাব ফেলেছে এবং মুসলিম সমাজকে আলোকিত করছে।
মসজিদে নববীর ইমাম ও খতিব শায়খ আলী আল হুজাইফী সম্পর্কে পাঁচটি তথ্য তুলে ধরা হলো—
বিজ্ঞাপন
শায়খ হুজায়ফী কে?
শায়খ আলী আল হুজাইফী ১৯৪৭ সালে মক্কার দক্ষিণে অবস্থিত উত্তর আল-আরদিয়াহ অঞ্চলের আল-কর্ণ আল-মুস্তাকিম গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে বেড়ে উঠেন তিনি। তার বাবা সেনাবাহিনীতে ইমাম ছিলেন। গ্রামের আলেমদের কাছেই তিনি প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন এবং পবিত্র কোরআন সম্পূর্ণ হিফজ (মুখস্থ) করে একজন খ্যাতনামা হাফেজে পরিণত হন। কোরআনের অর্থ ও গভীর তাৎপর্য বোঝার নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে তিনি কুরআনিক জ্ঞানের এক আলোকবর্তিকায় পরিণত হন।
বিজ্ঞাপন
শিক্ষা ও কর্ম জীবন
শায়খ আলী আল হুজাইফী কোরআন শিক্ষায় অসাধারণ পারদর্শিতার জন্য পরিচিত। তিনি ইসলামী আইন বিষয়ে শিক্ষা গ্রহণ করেন এবং মদিনার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি থেকে কোরআন বিষয়ক বিজ্ঞানে বিশেষজ্ঞ হিসেবে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর ১৯৬৮ সালে রিয়াদে ইমাম মুহাম্মদ বিন সউদ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শরিয়াহ কলেজে ভর্তি হন এবং ১৯৭২ সালে সেখান থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি বালজারশি গভর্নরেটের একটি সম্মানিত প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান এবং সেখানে কোরআনের তাফসির, তাওহিদ, আরবি ব্যাকরণ ও আরবি ক্যালিগ্রাফি বিষয়ে পাঠদান করেন।
আরও পড়ুন
মসজিদে নববীর ইমাম হলেন যেভাবে
শায়খ আলী আল হুজাইফী ১৯৭৯ সালে মসজিদে নববীর প্রধান ইমাম নিযুক্ত হন। মসজিদে নববীর ইমামতির গৌরবময় ও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে যাচ্ছেন। ১৯৮১ সালে পবিত্র রমজান মাসে তাকে মসজিদুল হারামের ইমামতিও অর্পণ করা হয়।
হৃদয়স্পর্শী কোরআন তিলাওয়াত
টেলিভিশন, রেডিও এবং অনলাইনে শায়খ আলী আল হুজাইফী আবেগঘন ও হৃদয়স্পর্শী কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ মানুষের হৃদয় জয় করেছেন এবং আল্লাহর সঙ্গে বান্দার সংযোগ তৈরতে সাহায্য করেছেন। তার দোয়া এতটাই হৃদয়গ্রাহী যে, তা শ্রোতাদের চোখে অশ্রু এনে দেয়।
শায়খ আলী আল হুজাইফী বর্তমানে মদিনার কোরআন পুনর্মূল্যায়ন কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি, তিনি কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্সের কুরআন রেকর্ডিং তদারকি কমিটি এবং উচ্চ পর্যায়ের সুপ্রিম কমিটির সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। কোরআনের প্রতি তার গভীর ভালোবাসা বহু মানুষকে আল্লাহর কিতাবের প্রতি নতুন করে আকৃষ্ট করেছে। তার ইসলামি শিক্ষার গভীরতা মানুষকে সৎ জীবনযাপনের অনুপ্রেরণা দিয়েছে।
এনটি/ডিএ