নামাজে একাধিকবার মোবাইল বেজে উঠলে কী করবেন?
নামাজে একবার মোবাইল বন্ধ করার পর আবার বেজে উঠলে তা বন্ধ করা যাবে কি না? আর এভাবে কতবার পর্যন্ত বন্ধ করার সুযোগ আছে?
এক্ষেত্রে ইসলামী আইন ও ফেকাহশাস্ত্রবিদদের মতামত হলো—
বিজ্ঞাপন
তিনবার বিশুদ্ধভাবে ‘সুবহানা রাবিবয়াল আযীম’ বা ‘সুবহানা রাবিবয়াল আ’লা’ বলা যায় এ পরিমাণ সময়ের ভেতর উপরন্তু দুইবার পর্যন্ত এক হাতের সাহায্যে মোবাইলের রিং বন্ধ করা যাবে। এ সময়ের ভেতর দুইবারের বেশি বন্ধ করা যাবে না। যদি করে তবে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে।
তবে একবার বা দুই বার বন্ধ করার পর তিন তাসবিহ পরিমাণ বিলম্বে আবার রিং বেজে উঠলে তখন বন্ধ করা যাবে।
বিজ্ঞাপন
মোটকথা তিন তাসবিহ বলা যায় এ সময়ের ভিতর তিনবার রিং বন্ধের জন্য এক হাতও ব্যবহার করা যাবে না। এতে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে।
নামাজ ভেঙে ফেলা যায় যেসব কারণে
নামাজ চলাকালীন কোন কোন কারণে নামাজ ভাঙ্গা যায়— এসব নিয়ে পাঠকদের জেনে রাখার সুবিধার্থে সংক্ষিপ্ত আলোচনা—
>> নামাজ আদায়কারীর জন্য কোনো শরিয়তসম্মত কোনো অপারগতা ছাড়া— নামাজ ভেঙে দেওয়া জায়েজ নেই। (সুরা মুহাম্মদ, আয়াত : ৩৩)
>> কোনো ব্যক্তিকে তার মা-বাবা ডাকলে, তিনি নামাজ ভেঙে দিতে পারবেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৪/৪০৪)
>> কোনো ব্যক্তি নামাজ আদায় করছেন, কিন্তু এমতাবস্থায় দেখলেন— কোনো অন্ধ কূপ অথবা কোনো গর্তের দিকে চলে যাচ্ছেন, আর তাতে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে; তাহলে নামাজ ভেঙে দিতে পারবে। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৫)
>> কোনো নির্যাতিত ব্যক্তি যদি নামাজ আদায়কারীর প্রতি সাহায্যের আবেদন জানায় এবং চিৎকার করে তাকে ডাকে; আর যদি নামাজ আদায়কারী মনে করে— সে ওই ব্যক্তিকে জুলুম থেকে রক্ষা করতে পারবে, তাহলে নামাজ ভেঙে দেওয়া আবশ্যক। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৩৫)
>> নামাজ আদায়কারী ব্যক্তি যদি কোনো চোরকে এক দিরহাম ন্যূনতম সমপরিমাণ মাল চুরি করতে দেখে, সে মাল নিজের বা অন্যের হোক নামাজ ভেঙে দেওয়া জায়েজ। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৪/৪১২)
>> মুসাফির ব্যক্তি যদি চোরের ভয়ে শঙ্কিত হয়, তবে নামাজ বিলম্ব করা জায়েজ। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৬৩)