ওমরা পালন করা ফরজ, ওয়াজিব, নাকি সুন্নত?
ওমরাহ করার সামর্থ্য থাকলে জীবনে একবার ওমরাহ করা সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ। ওমরার জন্য কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই। শুধু জিলহজ মাসের ৯-১৩ তারিখ পর্যন্ত পাঁচ দিন ওমরাহ করা মাকরূহ। এছাড়া বছরের যে কোনো সময় ওমরাহ করা জায়েজ আছে।
হজের মতো ওমরাহর জন্যও সুস্থ, শারীরিকভাবে সক্ষম এবং প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া আবশ্যক। একইসঙ্গে আর্থিক সামর্থ্যও থাকতে হবে, তাহলেই ওমরাহ করা সুন্নত।
বিজ্ঞাপন
আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান হওয়ার অর্থ হলো, সফরের সময়ে নিজের, পরিবারের ও অধীন ব্যক্তিদের সব ধরনের খরচ নিশ্চিত করার পর ওমরাহ পালনের মতো অর্থ জমা থাকা।
পুরো বছরই ওমরাহ করা যায়, তবে রমজান মাসে ওমরাহ করা সবচেয়ে উত্তম। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, রমজানে একটি ওমরাহ করা আমার সাথে একটি হজ করার সমতুল্য। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৮৬৩)
বিজ্ঞাপন
ওমরাহর ফজিলত সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, এক ওমরাহর পর আরেক ওমরাহ—উভয়ের মধ্যবর্তী সময়ের (গুনাহের) জন্য কাফফারাস্বরূপ। আর জান্নাতই হলো কবুল হজের প্রতিদান। (বুখারি, হাদিস : ১৭৭৩)
আরেক হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, তোমরা ধারাবাহিকভাবে হজ ও ওমরা আদায় করতে থাকো। এ দুটি আমল দারিদ্র্য ও গুনাহ বিদূরিত করে দেয়। যেমন—ভাটার আগুনে লোহা ও সোনা-রুপার ময়লা-জং দূরীভূত হয়ে থাকে। (তিরমিজি, হাদিস : ৮১০)
অন্য হাদিসে হজরত ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, আল্লাহর পথে যুদ্ধে বিজয়ী, হজকারী ও ওমরাকারী আল্লাহর মেহমান বা প্রতিনিধি। আল্লাহ তাদের আহ্বান করেছেন, তারা তার ডাকে সাড়া দিয়েছেন। আর তারা তার কাছে চেয়েছেন এবং তিনি তাদের দিয়েছেন। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২৮৯৩)