অন্ধ ব্যক্তি নামাজের ইমামতি করতে পারবেন?
জামাতে নামাজের জন্য ইমাম থাকা জরুরি। ইমাম ছাড়া জামাতে নামাজ আদায় হবে না। নামাজে ইমামতি করার জন্য বিশেষ কিছু গুণ থাকতে হয়। আমাদের সমাজে সাধারণত ইমামতির গুণ সম্পন্ন সুস্থ, স্বাভাবিক মানুষেরাই নামাজের ইমাম হয়ে থাকেন।
অন্ধ বা অসুস্থ মানুষ নামাজে ইমামমতি করেন না। কখনো কোনো অন্ধ ব্যক্তি নামাজের ইমামতি করলে তার অন্ধ হওয়া ইমামতির জন্য প্রতিবন্ধক নয়। তবে যেসব গুণাবলির কারণে ইমামতির জন্য অগ্রাধিকার দেওয়া হয়, যেমন—
বিজ্ঞাপন
কোরআন সহিহভাবে পড়া, নামাজ সম্পর্কিত মাসআলার ব্যাপারে অভিজ্ঞ হওয়া, সচ্চরিত্রবান হওয়া, শারীরিক পবিত্রতা রক্ষা করা ইত্যাদি গুণাবলি যে হাফেজের মধ্যে বিদ্যমান আছে, তিনি ইমামতির জন্য অগ্রাধিকার পাবেন।
রাসুল (সা.) তাবুকের যুদ্ধের সময় অন্ধ সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুম (রা.)-কে মসজিদ-ই-নববীর ইমামতির জন্য নিজের স্থলাভিষিক্ত করেছিলেন।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
ইমামের মর্যাদা সম্পর্কে এক হাদিসে হজরত উকবা ইবনে আমের রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি সঠিক সময়ে লোকদের নিয়ে জামাতে নামাজ আদায় করেছে, এ জন্য সে (ইমাম) নিজে ও মুকতাদিরাও পরিপূর্ণ সওয়াবের অধিকারী হবে।
অপরপক্ষে যদি কোনো সময় ইমাম সঠিক সময়ে নামাজ আদায় না করে তবে এজন্য সে দায়ী হবে; কিন্তু মুকতাদিরা পরিপূর্ণ সওয়াবের অধিকারী হবে। (আবু দাউদ, হাদিস : ৫৮০)
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেছেন, হে আল্লাহ! তুমি ইমামদের সঠিক পথ দেখাও। এর অর্থ, ‘ইলমের ব্যাপারে সঠিক পথ দেখাও। আর তার ‘ইলমের মধ্যে শরিয়তে মাসআলা মাসায়েলের সঠিক জ্ঞান থাকা আবশ্যক।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন, হে আল্লাহ! তুমি মুয়াজ্জিনদের ক্ষমা কর। (তিরমিজি : ২০৭)