আল্লাহর ওপর ঈমান আনা সবার জন্য জরুরি। কারণ, ঈমান না থাকলে আল্লাহ তায়ালা পরকালে ক্ষমা করবেন না। আল্লাহর ওপর ঈমান থাকলে আল্লাহ তায়ালা তাকে ক্ষমা করবেন এবং পরকালে চিরস্থায়ী জান্নাত দান করবেন।

এক হাদিসে হজরত আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রা.) বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যার অন্তরে সরিষার দানা পরিমান ঈমান থাকবে সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে না। আর যে ব্যাক্তির অন্তরে এক সরিষার দানা পরিমাণ অহমিকা থাকবে সেও জান্নাতে প্রবেশ করবে না। (সহিহ মুসলিম)

মুমিনদের কিয়ামতের দিনের অবস্থা সম্পর্কে এক হাদিসে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কিয়ামতের দিন ঈমানদারকে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের এতো কাছে আনা হবে যে, আল্লাহ তায়ালা ঈমানদারদের কাঁধে হাত রেখে তার গুনাহসমূহের স্বীকারোক্তি আদায় করিয়ে নেবেন। তাকে জিজ্ঞেস করবেন, অমুক গুনাহ জানা আছে কি? মনে আছে কি? 

ঈমানদার বলবে, হে আমার প্রভু, আমি আমার গুনাহর কথা স্বীকার করছি, এমন এমন গুনাহ অবশ্যই আমার থেকে সংঘটিত হয়েছে। এভাবে দু’বার ঈমানদার স্বীকার করবে। তারপর আল্লাহ তায়ালা বলবেন, আমি দুনিয়ায় তোমার গুনাহসমূহ ও অপরাধ গোপন রেখেছি। কিন্তু আজ তোমাকে মাফ করে দিচ্ছি। তারপর সৎকাজ সমূহের আমলনামা ভাজ করে তাকে দেয়া হবে। 

পক্ষান্তরে অপর দল তথা কাফেরদেরকে সাক্ষী-সমক্ষে ডেকে বলা হবে, এরাই ছিল সেসব লোক, যারা তাদের রবের উপর মিথ্যারোপ করেছিল। সাবধান! আল্লাহর লানত জালিমদের উপর। (বুখারি, হাদিস : ৪৬৮৫)