পবিত্র কাবা শরিফ। ছবি : সংগৃহীত।

হজ মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও সাম্যের প্রতীক পবিত্র হজ। নানা জাতি ও বর্ণের মুসলিমদের মিলনস্থল। হজ ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের অন্যতমও বটে। হজ একমাত্র স্তম্ভ— যাতে আর্থিক ও কায়িক শ্রমের সমন্বয় রয়েছে। অন্য কোনোটি হজের মতো এই দুইটি একসঙ্গে পাওয়া না যায় না।

হজের যত প্রকার

এক. ইফরাদ

শুধু হজের নিয়তে ইহরাম ধারণ করে ওই ইহরামেই হজের সব আমল সম্পন্ন করা।

দুই. তামাত্তু

শুধু ওমরাহর নিয়তে ইহরাম ধারণ করে ওমরাহর কাজ সমাপ্ত করা। এরপর মাথা মুণ্ডন করে ইহরাম থেকে মুক্ত হওয়া। অতঃপর ওই সফরেই হজের নিয়তে ইহরাম বেঁধে হজের সব আমল সম্পাদন করা।

তিন. কিরান

একসঙ্গে ওমরাহ ও হজের নিয়তে ইহরাম ধারণ করে ওই (একই) ইহরামেই ওমরাহ ও হজ পালন করা। এ তিন প্রকারের মধ্যে উত্তম হলো ‘কিরান।’ কিন্তু ইহরাম দীর্ঘায়িত হওয়ার কারণে নিষেধাজ্ঞাবলি সঠিকভাবে মেনে চলতে না পারার আশঙ্কা থাকলে হজে তামাত্তুই উত্তম। (ফাতাওয়া শামি, খণ্ড: ২, পৃষ্ঠা: ৫২৯)

হজের সময় ও নির্ধারিত স্থান

হজের নির্দিষ্ট সময় হলো— শাওয়াল, জিলকদ ও জিলহজের প্রথম ১০ দিন। বিশেষত ৮ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত পাঁচ দিন। এ পাঁচ দিনই মূলত হজ পালন করা হয়। হজের নির্ধারিত স্থান—কাবা শরিফ, সাফা-মারওয়া, মিনা, আরাফা ও মুজদালিফা। (আসান ফিকাহ, খণ্ড: ০২, পৃষ্ঠা : ২৫১)

হজের সওয়াব ও ফজিলত

আল্লাহর রাসুল (সা.) হাদিসে বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হজ করে এবং অশ্লীল ও গুনাহর কাজ থেকে বেঁচে থাকে, সে নবজাতক শিশুর মতো নিষ্পাপ হয়ে যায়। আর মকবুল হজের পুরস্কার জান্নাত ছাড়া অন্য কিছুই নয়।’ (বুখারি, খণ্ড: ০১, পৃষ্ঠা: ২০৬)

হজ আদায় না করলে যে শাস্তি

রাসুল (সা.) হাদিসে বলেছেন, ‘হজ ফরজ হওয়ার পর তা আদায় না করে মৃত্যুবরণ করা— ইহুদি বা খ্রিস্টান হয়ে মৃত্যুবরণ করার সমতুল্য। ’ (তিরমিজি, হাদিস : ১৬৭)