স্মার্টফোনে নিয়ন্ত্রিত হবে হাজিদের গতিবিধি
পবিত্র কাবা শরিফ। ছবি : সংগৃহীত।
গত বারের মতো এই বছরও সৌদিতে অবস্থানরত ৬০ হাজার জন অংশ নেবেন। করোনা সংক্রমণ রোধে এবার সৌদি সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। হাজিদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নানা উদ্যোগে নিশ্চিতের পাশাপাশি ইতোমধ্যে হজের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
বুধবার (০৭ জুলাই) সৌদির হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বরাতে প্রকাশিত আরব নিউজে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এমনটা জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
হজ ও ওমরাহ বিষয়ক উপমন্ত্রী ড. আবদুল ফাত্তাহ মাশাত সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, হজের পবিত্র স্থানগুলোতে সার্বিক প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। হজ পালনের জন্য আগত হজযাত্রীরা যথাসময়ে আসা শুরু করবে বলে আশা করা যাচ্ছে। হজের প্রস্তুতির কাজের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সৌদির সরকারি-বেসরকারি ৩০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান সহায়তামূলক কাজ করছে।
সৌদির হজ বিষয়ক মন্ত্রী হজযাত্রীদের আবাসনের প্রস্তুতির কথাও জানিয়েছেন। রিয়াদ রেডিওতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আরাফা প্রাঙ্গণে হাজিদের জন্য তাঁবু স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও হজের অন্যান্য স্থান মিনা ও মুজদালিফাতেও হাজিদের প্রয়োজনীয় সব কিছুর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
অন্যদিকে হজের স্থানগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচলের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছে। পাশাপাশি হাজিদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পরিবহন ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ রাখা হয়েছে। তাছাড়া স্মার্টফোনের সাহায্যে হাজিদের সার্বিক গতিবিধি ও স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিরীক্ষণের ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
হজের খুতবার অনুবাদ ও পানি বিতরণে রোবট
প্রতি বছর হজের খুতবা বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করা হয়। গত বছর প্রথম বাংলায় অনুবাদ শুরু হয়েছিল। গত বছরের মতো এবছরও আরাফার দিনের খুতবা সরাসরি বাংলাসহ ১০টি ভাষায় অনুবাদ করা হবে। শনিবার (০৩ জুলাই) সৌদি গেজেটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এমনটা জানা গেছে।
এর আগে পবিত্র মসজিদুল হারামে জমজম পানি বিতরণে রোবট চালু করা হয়েছে। মসজিদে আগত মুসল্লি ও হজ-ওমরাহ পালনকারীদের সুরক্ষার জন্য এমন ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফলে এখন থেকে মক্কার মসজিদুল হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে কারো সরাসরি সহয়তা ছাড়াই রোবটের মাধ্যমে জমজম পানি বিতরণ করা হবে। গত মাসের ১৩ জুন মসজিদুল হারামের প্রধান ইমাম ও খতিব ড. আবদুর রহমান আল-সুদাইস রোবটের মাধ্যমে পানি বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।