ছবি : সংগৃহীত

দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ। ফরজ নামাজ অবশ্যই জামাতে আদায় করা কর্তব্য। এরপরও কোনো কারণে কারও জামাত ছুটে গেলে নিজে আদায় করে নেওয়ার অবকাশ রয়েছে। কিন্তু সর্বোচ্চ চেষ্টা করা উচিত যে, যেন নামাজ জামাতে আদায় করা যায়।

জামাতে নামাজ আদায়ের সময় মুক্তাদী কি ইমামের সাথে প্রত্যেক ওঠা-বসায় তাকবিরগুলো বলতে হবে কি? এই ধরনের প্রশ্ন অনেকে করে থাকেন। এছাড়াও আরও কেউ কেউ জিজ্ঞেস করেন যে, মাসবুক— যে ইমামকে দ্বিতীয় রাকাতের সিজদায় পেয়েছে, তাকে ইমামের প্রথম বৈঠকে তাশাহহুদ পড়তে হবে কি না? বা তখন তার করণীয় কী?

এখানে এই দুইটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে। প্রথমত মুক্তাদি ইমামের সাথে প্রত্যেক ওঠা-বসায় তাকবির বলবে। এ তাকবিরগুলো বলা মুক্তাদির জন্যও সুন্নত (আর তাকবিরে তাহরিমা ফরজ)। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘ইমাম নির্ধারণ করাই হয়েছে, তার অনুসরণের জন্য। সুতরাং যখন তিনি তাকবির বলেন, তোমরাও তাকবির বলো, তিনি যখন রুকু করেন তোমরাও রুকু করো...।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭৩৪; ইমদাদুল ফাত্তাহ, পৃষ্ঠা : ৩১৯; হাশিয়াতুত তাহাভি আলাল মারাকি, পৃষ্ঠা : ২৮২)

দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর হলো- হ্যাঁ, মাসবুক ইমামের প্রথম বৈঠকে শরিক হলেও তাশাহহুদ পড়বে। এক্ষেত্রে তার দুই রাকাত পূর্ণ না হলেও ইমামের অনুসরণে তাশাহহুদ পড়বে। ইবরাহিম নাখায়ি (রহ.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, ‘মাসবুক ইমামের সাথে প্রত্যেক বৈঠকেই তাশাহহুদ পড়বে।’ (কিতাবুল আছার, ইমাম মুহাম্মাদ, বর্ণনা : ১৩১)

তথ্যসূত্র : বাদায়েউস সানায়ি : ১/৫৬৩; মুখতারাতুন নাওয়াজিল : ১/২৯৯; খুলাসাতুল ফাতাওয়া : ১/১৫৯; ফাতাওয়া ওয়ালওয়ালিজিয়া : ১/১০১; রদ্দুল মুহতার : ২/৮৫

প্রশ্নটি করেছেন : সাজিদুর রহমান, পরশুরাম, ফেনী