পাকিস্তানের ক্রিকেটে চলছে পালাবদলের হাওয়া। সাবেক ক্রিকেটারদের বোর্ডের বিভিন্ন বড় পদে দায়িত্ব দিয়ে রেখেছেন পিসিবি সভাপতি জাকা আশরাফ। মোহাম্মদ হাফিজ এসেছেন দলের ডিরেক্টর কাম কোচের পদে। প্রধান নির্বাচকের পদে এসেছেন ওয়াহাব রিয়াজ। আবার তার সহযোগী হিসেবে আনা হয়েছিল কামরান আকমল এবং সালমান বাটকে। যদিও সালমান বাটকে অতীতের অপরাধের কথা ভেবে একদিনের ব্যবধানেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। 

এবার বোর্ডের দায়িত্ব নিতে অবসরেই চলে গেলেন দেশটির আরেক ক্রিকেটার। গতকাল ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগের ফাইনাল খেলে ক্রিকেটকে গুডবাই বললেন পাকিস্তানের আসাদ শফিক। টেস্ট এবং ওয়ানডে ফরম্যাটে ম্যান ইন গ্রিনদের স্কোয়াডে একসময় অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ছিলেন আসাদ। টেস্টে ৬ নম্বরে নেমে ৬টি দেশের বিপক্ষে সেঞ্চুরির রেকর্ডও আছে তার নামের পাশে। 

একসময়ের পাকিস্তানের ব্যাটিং ইউনিটের এই ত্রাতাকে এবার দেখা যাবে পাকিস্তান ক্রিকেটের পালাবদলের চক্রে। অনেকেই মনে করছেন এমন সিদ্ধান্ত নিতে পিসিবিই নাকি আসাদকে বাধ্য করেছে। দুদিন আগেই তার অধিনায়কত্বে ন্যাশনাল টি-২০ কাপ জয় করে করাচি হোয়াইটস। 

তবে আসাদ শফিক নিজেই জানিয়েছেন ৩৭ বছর বয়সে এসে আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেটের জন্য উপযুক্ত নন তিনি, ‘ক্রিকেট খেলতে আর আগের মতো টান এবং রোমাঞ্চ অনুভব করি না। ফিটনেসও আন্তর্জাতিক মানের নেই। এ কারণে সব ধরনের ক্রিকেট ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ 

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সিন্ধ প্রিমিয়ার লিগ (এসপিএল) খেলে আগামী ১ জানুয়ারি থেকে পিসিবির নির্বাচক ও কনসালট্যান্টের দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার কথা ছিল আসাদ শফিকের। এসপিএল এ মাসে শুরুর কথা থাকলেও এখনো মাঠে গড়ায়নি। তাই হয়ত এখনই বিদায় জানিয়ে দিলেন ক্রিকেটকে। অবসর নেওয়ার পর বার্তা সংস্থা পিটিআইকে শফিক বলেন, ‘বোর্ডের সঙ্গে আমার চুক্তি হবে, এটার অপেক্ষায়ই আছি এবং আশা করি সবকিছু দ্রুতই হবে।’

২০১০ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষিক্ত এ ব্যাটসম্যান টেস্ট স্পেশালিস্ট ব্যাটার হিসেবে পাকিস্তানকে এক দশক সার্ভিস দিয়ে গিয়েছেন। ২০২০ সাল পর্যন্ত টেস্টে পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে মিডল অর্ডারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন আসাদ। সাদা পোশাকের ক্রিকেটে ১২টি শতক ও ২৭টি ফিফটিতে ৪ হাজার ৬৬০ রান করেছেন।  

ওয়ানডেতে ৬০ ম্যাচে করেছেন ১ হাজার ৩৩৬ রান। ৯টি অর্ধশতক থাকলেও শতক নেই। দেশের হয়ে টি–টোয়েন্টি ম্যাচই সে অর্থে কম খেলেছেন আসাদ শফিক। রান করেছেন ১৯২, খেলেছেন ১০ ম্যাচ।

জেএ