নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ইতিমধ্যে প্রথম দুই ম্যাচ হেরে ওয়ানডে সিরিজ খুইয়েছে বাংলাদেশ। হোয়াইটওয়াশ এড়াতে তৃতীয় ও সর্বশেষ ওয়ানডেতে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। নেপিয়ারে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টায়।

সিরিজের শেষ ম্যাচে দলে কোনো পরিবর্তন আনেনি নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় ম্যাচে যে দলটি নিয়ে মাঠে নেমেছিল; শেষ ম্যাচটিতেও সেই একই দল নিয়ে বাংলাদেশকে মোকাবিলা করবে কিউইরা।

অপরদিকে বাংলাদেশ একটি পরিবর্তন এনেছে। একাদশে ফিরেছেন পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি খেলবেন হাসান মাহমুদের জায়গায়।

গেল বছর মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে টেস্টে ইতিহাস গড়েছিল বাংলাদেশ। তবে ওয়ানডেতে কিউইদের মাটিতে এখনো হারের বৃত্ত ভাঙতে পারেনি টিম টাইগার্স। এবার আরেকটি হোয়াইটওয়াশের দুয়ারে সফরকারীরা।

ব্যাটিং ব্যর্থতায় ৪৪ রানের হার দিয়ে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শুরু করে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে সৌম্য সরকারের মহাকাব্যিক ইনিংসের পরও ভাগ্যের চাকা ঘুরেনি। শেষ ম্যাচে তাই বাংলাদেশের লক্ষ্য হোয়াইটওয়াশ এড়ানো।

২০০৭ সালে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথম ওয়ানডে সিরিজ খেলেছিল বাংলাদেশ। সেবার ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর গেল ১৬ বছরে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে আরও ছয়টি ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে টিম টাইগার্স। কিন্তু একটি ম্যাচেও জিততে পারেনি। চলতি সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ হেরে যাওয়ায় নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হারের সংখ্যাটা আঠারোতে গিয়ে ঠেকেছে।

২০২৬ সাল পর্যন্ত এফটিপিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আর কোনো সিরিজ না থাকায় তৃতীয় ওয়ানডেই হবে কিউইদের বিপক্ষে বাংলাদেশের হারের বৃত্ত ভাঙার শেষ সুযোগ। সেটি করতে পারলে নিউজিল্যান্ডের কাছে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর পাশাপাশি টানা পঞ্চম হারের লজ্জা থেকে রক্ষা পাবে টাইগাররা। বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের মাটিতে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতেছিল নিউজিল্যান্ড।

বাংলাদেশ একাদশ: সৌম্য সরকার, আনামুল হক, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন দাস, তৌহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম (উইকেট-রক্ষক), মেহেদী হাসান মিরাজ, তানজিম হাসান সাকিব, রিশাদ হোসেন, শরিফুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান।

নিউজিল্যান্ড একাদশ : উইল ইয়ং, রাচিন রবিন্দ্র, হেনরি নিকোলস, টম লাথাম, মার্ক চ্যাপম্যান, জস ক্লার্কসন, টম ব্লান্ডেল (উইকেট-রক্ষক), অ্যাডাম মিলনে, আদিত্য অশোক ও উইলিয়াম ও’রোর্ক।

এফআই/এমটিআই