রিয়াল মাদ্রিদকে শেষ ষোলয় তুললেন বেনজেমা
ছবি: সংগৃহীত
শাখতার দোনেৎস্কের কাছে আগের ম্যাচে হার খাদের কিনারে নিয়ে গিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদকে। শেষ ম্যাচে জয় ছাড়া উপায়ই ছিলো না কোচ জিনেদিন জিদানের শিষ্যদের। কারিম বেনজেমার কল্যাণে বরুসিয়া মুনশেনগ্ল্যাডবাখের বিপক্ষে সে বাঁধা ভালোভাবেই উতরে গেছে রিয়াল। ২-০ ব্যবধানের জয় তাদের পাইয়ে দিয়েছে গ্রুপ শ্রেষ্ঠত্বও।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপপর্বের শেষ দিনে বি গ্রুপের সমীকরণটা ছিলো বেশ আকর্ষণীয়। যে কেউ শেষ ষোলয় যেতে পারতো, যে কেউ বিদায় নিতে পারতো। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ইতিহাসের সেরা দল বলেই কিনা, রিয়াল মাদ্রিদের শঙ্কাটা একটু বেশিই ছিলো। গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায়ের লজ্জ্বা যে আর কখনোই পায়নি লস ব্ল্যাঙ্কোসরা! সে শঙ্কা এবার ভালোভাবেই মাথাচাড়া দিচ্ছিলো রিয়াল শিবিরে, বিশেষ করে শাখতারের কাছে আগের ম্যাচে হারের পর।
বিজ্ঞাপন
অধিনায়ক সার্জিও রামোসকে ছাড়া চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেষ দুই মৌসুমে দুটো নকআউট মূহুর্তে (আয়াক্স ও লিওঁ) বিদায় নিতে হয়েছিলো রিয়ালকে। বুধবার রাতের ম্যাচের আগে রামোস ফিরেছিলেন, যা দিয়েছিলো রিয়ালকে বাড়তি মনোবল। তার ফলেই হয়তো, নিজেদের মাঠ আলফ্রেদো দি স্তেফানোয় রিয়াল এগিয়ে যেতে সময় নিলো মোটে নয় মিনিট। লুকাস ভাসকেজের ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে স্বাগতিকদের এগিয়ে দেন বেনজেমা। দ্বিতীয় গোলেও হলো একই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি, পরিবর্তন শুধু যোগানদাতার ক্ষেত্রে। রদ্রিগো গোয়েজের ক্রসে হেড করে গোল করেন বেনজেমা।
ম্যাচের আধঘণ্টায় এগিয়ে গিয়ে রিয়ালও আর পা হড়কায়নি। দাঁতে দাঁত চেপে রক্ষণকাজ করে তুলে নেয় ২-০ ব্যবধানের জয়, তাতে নিশ্চিত হয়ে যায় দলটির গ্রুপ শ্রেষ্ঠত্বও। এদিকে শেষ দিনে এই হারের ফলে গ্রুপের শীর্ষে থাকা মুনশেনগ্ল্যাডবাখ গ্রুপসেরা হয়ে আর শেষ ষোলয় যেতে পারেনি, তবে দিনের অন্য ম্যাচে শাখতার ইন্টারের বিপক্ষে না জেতায় মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে নিশ্চিত হয়ে যায় দলটির দ্বিতীয় রাউন্ড। দি স্তেফানো স্টেডিয়ামে হেরেও তাই জার্মান দলটি খুশিমনেই ফিরছে দেশে।
বিজ্ঞাপন
এদিকে চলতি মৌসুমে গ্রুপসেরা হয়ে অনন্য এক কীর্তিও গড়েছে রিয়াল। চলতি শতাব্দিতে একবারও গ্রুপ রানার্স আপ হওয়ার নজির নেই দলটির। শেষবার হয়েছিলো ১৯৯৭-৯৮ মৌসুমে, ফলে টানা ২৪ মৌসুম গ্রুপসেরা হওয়ার কীর্তি গড়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শ্রেষ্ঠ এই দল।
এনইউ