ছবি : সংগৃহীত

৩২ তম ফেডারেশন কাপ শুরু হচ্ছে ২২ ডিসেম্বর। রোববার দুপুরে বাফুফে ভবনে এই টুর্নামেন্টের ড্র অনুষ্ঠিত হয়। আসন্ন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে অংশ নিতে যাওয়া দলগুলোকে নিয়েই হচ্ছে ফেডারেশন কাপ। মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অংশগ্রহণ নিয়ে এখনো শঙ্কা রয়েছে। 

ক্লাবটির অংশ নেয়া প্রসঙ্গে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ বলেন,‘কোনো কারণে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ না থাকলে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের গ্রুপে উত্তর বারিধারাকে দিয়ে ওই গ্রুপ পূরণ করা হবে।’

লিগ কমিটির চেয়ারম্যান ও বাফুফে সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদি বলেন,‘মুক্তিযোদ্ধা আমাদের লিখিত কিছু জানায়নি। ফলে তাদের নিয়েই আমরা এগুচ্ছি।’

২০১৮-১৯ মৌসুমে উত্তর বারিধারা ছিল লিগের ১৩ তম দল। উত্তর বারিধারাকে চার নম্বর সিডিং ধরে ড্র শুরু হয়। সাবেক জাতীয় তারকা ফুটবলার ও শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান আশরাফউদ্দিন আহমেদ চুন্নু ‘বি’ গ্রুপ উঠান । 

‘বি’ গ্রুপের চতুর্থ দল উত্তর বারিধারাকে দিয়ে শুরু হয় ড্র পর্ব। বি গ্রুপের অন্য তিন দল সাইফ স্পোর্টিং, আরামবাগ ও ব্রাদার্স ইউনিয়ন। উত্তর বারিধারা থাকায় বি গ্রুপটি শুধু চার দলের। বাকি তিন গ্রুপে তিন দল। 

মুক্তিযোদ্ধা সংসদ পড়েছে ডি গ্রুপে। এই গ্রুপের অন্য দুই দল হচ্ছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দী দুই ক্লাব ঢাকা আবাহনী ও মোহামেডান। আবাহনী লিগ চ্যাম্পিয়ন,রানার্স আপের মধ্যে থাকলেও মোহামেডানের অবস্থান মাঝামাঝি। টুর্নামেন্টের ড্র লিগের অবস্থান অনুযায়ী হওয়ায় আবাহনী-মোহামেডান গত কয়েক বছরের মধ্যে ফেডারেশন কাপ ও স্বাধীনতা কাপে গ্রুপ পবেই প্রতিদ্বদ্বিতা করেছে। মোহামেডানের বৃটিশ কোচ শেন লি ড্র’তে আবাহনীর নাম তুলেছেন। 

মুক্তিযোদ্ধা শেষ পর্যন্ত ফেডারেশন কাপে অংশ না নিলে উত্তর বারিধারা বি গ্রুপের পরিবর্তে ডি গ্রুপে খেলবে। টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস বি গ্রুপে। তাদের গ্রুপের অন্য দুই দল চট্টগ্রাম আবাহনী ও রহমতগঞ্জ। এ গ্রুপের তিন দল হচ্ছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র, শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও বাংলাদেশ পুলিশ। 

২২ ডিসেম্বর উদ্বোধন হওয়া টুর্নামেন্টের ফাইনাল হবে ৯ জানুয়ারী। চার গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপ নিয়ে ১ জানুয়ারী শুরু হবে কোয়ার্টার ফাইনাল। ৫ ও ৬ জানুয়ারি সেমিফাইনাল। 

ড্র’য়ের পাশপাশি টুর্নামেন্টের লোগো উন্মোচন হয়। স্পন্সর প্রতিষ্ঠান, ক্লাব ও ফেডারেশনের বিভিন্ন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এজেড/এটি/ এমএইচ