খুদে ফুটবলারদের সেলফির আবদার মেটাচ্ছেন কোচ জেমি /ছবি: ঢাকা পোস্ট

কোয়ারেন্টাইন শেষে শনিবার মাঠে ফিরলেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের ব্রিটিশ হেড কোচ জেমি ডে। সকালে বাফুফে অনুর্ধ্ব ১৫ প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচিতে কিছুক্ষণের জন্য ছিলেন তিনি। জাতীয় দলের কোচকে কাছে পেয়ে ক্ষুদে ফুটবলাররা বেশ উচ্ছ্বসিত ছিলেন। ট্রায়ালের ফাঁকে তারা ছবি তুলেছেন। কেউ নিজে সেলফি তুলেছেন আবার অনেকে বন্ধুদের সাথে একসঙ্গে তুলেছেন। জেমি নিজেও বিষয়টি উপভোগ করেছেন। মাঝে মধ্যে বাচ্চাদের সঙ্গে মজাও করেছেন।

অনেকে বিভিন্ন ক্লাবের ও দেশের জার্সি পড়ে এসেছিলেন ট্রায়ালে। মানারাত স্কুলের আইমান লিভারপুলে জার্সি গায়ে জেমির সঙ্গে ছবি তুলতে গেলে জেমি মজা করে বলেন, ‘ওহ নো লিভারপুল। আই উইল টেক অ্যা পিক উইথ আর্সেনাল ফ্যান।’ আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে দেয়া সানাউলকে জেমির প্রশ্ন ছিল, ‘তুমি কি মেসির ফ্যান?’ একের পর এক ক্ষুদে ফুটবলাররা ছুবি তুলছেন। মন মতো না হওয়ায় আবার তুলছেন। কোনো বিরক্ত না হয়ে উল্টো মজাই পেয়েছেন জেমি, ‘বাফুফের এই উদ্যোগটি বেশ দারুণ। ছেলেরা আমাকে দেখে উৎসাহ বোধ করছে। বিষয়টি আমারও ভালো লাগছে।’ 

৩৫০ ফুটবলারদের ছোট ছোট দলে ভাগ করা হয়েছে। প্রতি দলে আট জন করা হয়েছে। এই পদ্ধতিকে সঠিকই বলছেন জেমি, ‘স্বল্প সময়ে এটাই সেরা পদ্ধতি। বাছাই প্রক্রিয়া সঠিক রয়েছে।’ এই প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচি মূল তত্ত্ববধায়ন করছেন আরেক ব্রিটিশ, বাফুফের ট্যাকনিক্যাল ডাইরেক্টর পল স্মলি।

বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক গোলরক্ষক বিপ্লব ভট্টাচার্য্যও ছিলেন শনিবার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে। বাংলাদেশে গোলরক্ষক সংকট। কয়েকজন ক্ষুদে ফুটবলারের মধ্যে মেধাবী গোলরক্ষক খুজে পেয়েছেন বিপ্লব, ‘আমি কয়েকজন ভালো গোলরক্ষক দেখেছি। সঠিক পরিচর্যা পেলে আশা করি তারা জাতীয় দলে এক দিন খেলবে।’

১৪ জানুয়ারি লন্ডন থেকে ঢাকায় পৌছান বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের বৃটিশ হেড কোচ জেমি ডে। লন্ডন থেকে আগতদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক। ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন শেষ হয়েছে ২৮ জানুয়ারি। কোয়ারেন্টিনের পাশাপাশি করোনা পরীক্ষাও করিয়েছেন জেমি। বৃহস্পতিবার করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট পাওয়ার পরেই তিনি স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরেছেন।

এজেড/এটি