লড়াইয়ের পুঁজিটা বড় নয়, ২০০ ও পেরোয়নি সংগ্রহটা। এমন পুঁজি নিয়ে জিততে হলে শুরুতেই উইকেট দরকার ছিল বাংলাদেশের। তবে আফগানরা সে সুযোগই দেয়নি বাংলাদেশকে। ভাগ্যও বিড়ম্বনায় ফেলেছে বেশ। তাতে পাওয়ারপ্লে শেষে লক্ষ্য তাড়ায় নিখুঁত এক ভিত পেয়ে গেছে আফগানরা। বাংলাদেশের খাতায় থাকল কেবলই হতাশা।

শুরুর পাঁচ ওভারে তাও রান আটকে রাখা সম্ভব হয়েছিল। তবে এরপরই যেন স্বরূপে দেখা দিলেন দুই আফগান ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও রিয়াজ হাসান। তখন থেকে যেন ভাগ্যেরও কিছুটা বিমাতাসুলভ আচরণ শুরু। পঞ্চম ওভারের পঞ্চম বলে গুরবাজের মিসটাইম হলো একটা বল। তবে সেটা বেরিয়ে গেল পয়েন্ট আর থার্ড স্লিপের মাঝামাঝি হয়ে। পয়েন্টে থাকা লিটন দাস প্রতিক্রিয়া দেখানোর সুযোগই পাননি।

এক ওভার বাদে আবারও একই দৃশ্যের অবতারণা। এবারও বোলার এক, ব্যাটারও এক। সে ওভারের দ্বিতীয় বলে গুরবাজের ব্যাট ছুঁয়ে বলটা বেরিয়ে যায় উইকেটরক্ষক ও প্রথম স্লিপের মাঝ দিয়ে, পেরিয়ে যায় সীমানা দড়িও।

এর এক বল পর শরিফুলের শর্ট বল পুল করতে চেয়েও পারেননি রিয়াজ। তবে সেটা ডিপ স্কয়ার লেগ সীমানায় থাকা ফিল্ডারের নাগালের বাইরে দিয়ে গিয়ে আছড়ে পড়ে সীমানার বাইরে।

এর আগে পরে লাগামছাড়া বোলিংও বাংলাদেশ করেছে বেশুমার। সেসবকে কাজে লাগিয়ে আফগানরা পেয়ে গেছে দারুণ শুরু। পাওয়ারপ্লে শেষে বিনা উইকেটেই পেয়ে গেছে ৫৭ রান।

এনইউ/এটি