ছবি: সংগৃহীত

কোভিড-১৯ এর জেরে জীবনযাপনে বেশ পরিবর্তন এসেছে। স্বাভাবিক প্রক্রিয়াও অস্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ দল। অথচ দলের সঙ্গে নেই স্পিন বোলিং কোচ ড্যানিয়েল ভেট্টোরি। করোনার মধ্যে নিউজিল্যান্ডের সাবেক এই অধিনায়ককে আনতে গেলে মোটা অঙ্কের আর্থিক ক্ষতি হতো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। ২৩ দিনের পরিবর্তে ৭০ দিনের বেতন দিতে হতো ভেট্টোরিকে।

বেশ চড়া মূল্যে ভেট্টোরির সঙ্গে চুক্তি করেছে বিসিবি। চুক্তি অনুযায়ী বিভিন্ন মেয়াদে টাইগার স্পিনাদের ১০০ দিন কোচিং করাবেন তিনি। সে হিসেবে প্রথমবার ২০১৯ সালের ২৬ অক্টোবর ঢাকায় আসেন নিউজিল্যান্ড দলের সাবেক অধিনায়ক। এরপর গত বছরের নভেম্বরে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে ভারত সফর করেছিলেন। তবে পাকিস্তানের সফরে ছিলেন না এই সাবেক বাঁহাতি স্পিনার।

গত মার্চে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হয়েছিল টাইগাররা। সে সময় বাংলাদেশ স্পিনারদের দেখভাল করেছেন ভেট্টোরি। এরপর করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল খেলা। প্রায় সাড়ে ১০ মাস পর উইন্ডিজ সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান, তাইজুল ইসলামরা। তবে এই সিরিজে টাইগার স্পিনারদের দায়িত্ব নিতে বাংলাদেশে আসেননি ভেট্টোরি।

তার আসার জন্য বিসিবিও জোর করেনি। কারণ, নিউজিল্যান্ড সরকারের নিয়ম অনুযায়ী বাইরে থেকে সেদেশে কেউ গেলে তাকে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলত কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। তাও সেটি বাসা নয়, নির্দিষ্ট একটি হাসপাতালে। ফলে সবেমিলিয়ে ৭০ দিন ভেট্টোরির খরচ জোগাতে হতো টাইগার বোর্ডকে। এজন্য আর্থিক ক্ষতি বাঁচাতে ভেট্টোরির আসার ব্যাপারে জোর দেয়নি বিসিবি।

সোমবার মহাখালি ডিওএইচএসে নিজ কার্যালয়ে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগের চেয়ারম্যান আকরাম খান বলেন, ‘তাকে ৬০-৭০ দিন দেশের বাইরে থাকতে হতো। নিউজিল্যান্ডে দেশের বাইরে থেকে যাওয়ার পর কোয়ারেন্টাইনের জন্য একটি হোটেলে উঠতে হয়। সেটি ওভার বুকড।’

আকরাম আরও জানান, ‘এই অবস্থায় তাকে যদি আমরা ২৩ দিনের জন্য আনতাম, তাহলে ৭০ দিনের টাকাপয়সা দিতে হতো। সেটি আর্থিকভাবে আমাদের ক্ষতি হতো। তাই তাকে আনতে পারিনি। সে নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যোগ দিবে। যেহেতু সেখানেই আছে, তার কোয়ারেন্টাইন লাগবে না। এর মধ্যে ভালো একজন স্পিন বোলিং কোচের খোঁজ শুরু করেছি আমরা।’

টিআইএস/এটি