বাংলাদেশকে ৩০০ রানে আটকানোর ভাবনা উইন্ডিজের
ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রাম টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৪৩০ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। যেখানে ক্যারিবীয়রা প্রথম ইনিংসে সংগ্রহ করতে পারে ২৫৯ রান। সে হিসেবে প্রথম ইনিংসেই ১৭১ রানে পিছিয়ে পড়ে সফরকারীরা। শেষপর্যন্ত ম্যাচ জিতলেও দ্বিতীয় ইনিংসে প্রায় ৪০০ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য টপকাতে হয়ে উইন্ডিজকে। এজন্য ঢাকা টেস্টে বাংলাদেশকে ৩০০ রানের বেশি করতে দিতে চান না ক্যারিবীয় প্রধান কোচ ফিল সিমন্স।
দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে রীতিমতো ইতিহাস রচনা করে উইন্ডিজ। অভিষিক্ত কাইল মেয়ার্সের দ্বিশতকে ৩৯৫ রান তাড়া করে জেতে অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটের দল। বাংলাদেশ তো বটেই, গোটা উপমহাদেশের টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে এতো রান তাড়ার রেকর্ড ছিল না এর আগে। প্রথম ম্যাচ জিতে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেলেও পরের ম্যাচ জিততে চাইলে নিজেদের আরও উন্নতির প্রয়োজন দেখছেন সিমন্স।
বিজ্ঞাপন
সোমবার ভার্চুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে সিমন্স জানান, ঢাকা টেস্টে বাংলাদেশকে ৩০০ রানে বেঁধে রাখার পরিকল্পনা সাজিয়েছে তার দল। এজন্য স্পিন বোলিং বিভাগকে আরো ভালো পারফর্ম করতে হবে বলে জানালেন তিনি। ক্যারিবীয় বোলারদের সেই সামর্থ্য আছে বলে মনে করেন সিমন্স। আস্থা রাখছেন রাকহিম কর্নওয়েল, জোমেল ওয়ারিক্যানদের উপর।
সংবাদ সম্মেলনে সিমন্স বলেন, ‘প্রতিটি জয়ের পর আর কোন কোন জায়গায় উন্নতির প্রয়োজন, সেটি আরও ভালো করে ভাবা প্রয়োজন। একটি দল যখন হারে, তখন তারা উন্নতির চেষ্টা করে। আমি মনে করি, বিজয়ীদেরও একই ভাবনা থাকা প্রয়োজন। আমাদের প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নতি করতে হবে। বাংলাদেশকে ৪০০ রানের পরিবর্তে ৩০০ রানে বেঁধে রাখতে আমরা আরও ভালো বল করতে পারি।’
বিজ্ঞাপন
উইন্ডিজ হেড কোচ আরও জানালেন, ‘আমার মনে হয় না, আমাদের স্পিনাররা তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী ধারাবাহিক ছিল। তারা ভালো বোলিং করেছে, তবে বোলিংয়ে আমাদের উন্নতির জায়গা আছে। আমাদের ধারাবাহিক হতে হবে। চট্টগ্রামের থেকে ঢাকার উইকেট বেশি স্পিন সহায়ক হবে।’
টিআইএস/এটি