বিসিবিকে ঘরোয়া ক্রিকেটের মান বাড়ানোর পরামর্শ দিলেন সালাউদ্দিন
বাংলাদেশ ঘরোয়া ক্রিকেটের আসরগুলো বেশ প্রতিযোগিতামূলকই হয়। এবার ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ খেলতে আসা বিদেশি ক্রিকেটারাও প্রশংসা করেছে এদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের। তবে সব সফলতায় যেন ‘কালি’ লেগে যায় আম্পারিং ইস্যুতে। গত ডিপিএলে সাকিব আল হাসানের স্টাম্পে লাথি মারার দৃশ্য এখনো মলিন হয়নি। এবারও আম্পায়ারিং ইস্যুতে উঠেছে অভিযোগ।
আবেদন ছাড়াই লেগ স্টাম্পের বাইরে বল আউটের অভিযোগ যেমন আছে, তেমনি ছয় হয়ে যাওয়া বল সীমানের বাইরে দাঁড়িয়ে ক্যাচ নেওয়ার পরেও আঙুল তুলতে দেখা গেছে দেশের অভিজ্ঞ আম্পায়ারদের। এই যেমন গত ৩০ মার্চ ব্রাদার্স ইউনিয়নের অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুলের বলে লং অফ দিয়ে শট হাঁকান দারুণ ব্যাট করতে থাকা প্রাইম ব্যাংকের শাহাদাত হোসেন দিপু। বাউন্ডারি লাইনে থাকা ফিল্ডার সুজন হাওলাদার বলটি তালুবন্দী করেন। কিন্তু আর আগেই বল আর সুজন দু’জনেই পেরিয়ে গেছে সীমানা দড়ি।
বিজ্ঞাপন
সেটি পরে ফিল্ডারের কাছে জিজ্ঞেস করে আউটের সিদ্ধান্ত দেন ফিল্ড আম্পায়ার। সে ঘটনায় নিজের ক্ষোভ উগড়ে দেন প্রাইম ব্যাংকের কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। সেই সালাহউদ্দিন আজ শুক্রবার মিরপুরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘ছেলেটার (ফিল্ডার) সাথে আমার কথা হয়েছে। যেহেতু সে বুঝতে পারেনি, তাকে আমি এখন দোষ দিতে পারব না। সে যদি বুঝতে পারত তাহলে হয়ত তখন বলত। যেটা হয়ে গেছে পরেরবার যেন সেটা না করে সেই পরামর্শ দিব। পরেরবার যেন এ ব্যাপারে আরও সচেতন হয়।’
আম্পায়ারিং ইস্যুতে বিসিবিকেই সমাধানের পথ খুঁজতে বললেন সালাহউদ্দিন। ঘরোয়া লিগের মান উন্নত করতে বিসিবির প্রতি সালাউদ্দিনের পরামর্শ, টিভি আম্পায়ার বা থার্ড আম্পায়ার রাখার।
বিজ্ঞাপন
সালাউদ্দিন বলছিলেন, ‘আমাদের ক্রিকেট এখন যে অবস্থানে আছে, এগুলো (টিভি আম্পায়ার) রাখা খুবই জরুরী। আরও সামনের যেতে হলে আমাদের এগুলো লাগবে। ক্রিকেট অনেক এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের বোর্ডও অনেক ধনী। আমি মনে করি তারা এগুলো দিতে পারবে এবং এটা করাও উচিৎ। সর্বোচ্চ পর্যায়ের বড় একটি লিগে সব ধরনের সব সুবিধা থাকা উচিৎ। যেন আপনি কোনো বিতর্কের না পড়েন। এটা করলে বোর্ডেও সুনাম থাকবে, আমাদের মানও ভালো হবে।’
তবে আম্পায়ারদের নিয়ে প্রশংসাও ঝরল সালাহউদ্দিনের কণ্ঠে, ‘উন্নতির জায়গা সবারই আছে। আমরা খেলোয়াড় হই, কোচ হই, আম্পায়ার হই- সবারই উন্নতির জায়গা আছে। তারপরও বলব অন্যবারের তুলনায় এবারের আম্পায়ারিংয়ের মান অনেক ভালো। তারা চেষ্টা করছে। ভুলভ্রান্তি মানুষের হতেই পারে। কেউ ভুল করে ফেলার পর সেটা নিয়ে প্রশ্ন না করাই ভালো। কারণ এটা হতেই পারে। আমি মনে করি অন্যবারের তুলনায় এবার আম্পায়ারিংয়ের মান অনেক ভালো। তারা চেষ্টা করছে। যদি ভুলভ্রান্তি দুই-একটা হয়ে যায়, এটাকে সবাই অন্যভাবে দেখা উচিৎ।’
টিআইএস/এনইউ