পিছিয়ে থেকেই অলআউট বাংলাদেশ
শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে একপাশে দাঁড়িয়ে থাকলেন মাহমুদুল হাসান জয়, তার সঙ্গে জুটি বেঁধেও সেগুলো বড় করতে পারলে না বাকিরা। সেট হয়েও নিজেদের ইনিংস লম্বা করতে পারলেন না কেউ। তার মাশুলই দিতে হলো বাংলাদেশ দলকে। প্রথম ইনিংসে অধিনায়ক মুমিনুল হকের দল গুটিয়ে গেছে ২৯৮ রানে। দক্ষিণ আফ্রিকা নিজেদের প্রথম ইনিংসে করে ৩৬৭ রান। ফলে প্রথম ইনিংসেই প্রোটিয়াদের থেকে ৬৯ রানে পিছিয়ে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
৯৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে আজ (শনিবার) দ্বিতীয় দিন শুরু করা বাংলাদেশ সকালেই হারিয়ে বসে নাইটওয়াচম্যান তাসকিন আহমেদকে। সেই সেশনে ওই ১ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে তোলে ৮৫ রান। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে অর্ধশতক করে মধ্যহ্নভোজে যান জয়, লিটন দাস অপরাজিত থাকেন ৪১ রানে।
বিজ্ঞাপন
বিরতি কাটিয়ে দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই সাজঘরের পথ ধরেন লিটন। আর কোনো রান যোগ করতে পারেননি তিনি। খানিক পর জয়ের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউটে কাটা পড়েন ইয়াসির আলি রাব্বি, তার ব্যাট থেকে আসে ২২ রানে। ওই সেশনেই অবশ্য আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম শতক পেয়ে যান জয়। এটি আবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টে টাইগার ব্যাটসম্যানদের প্রথম সেঞ্চুরি।
জয় ১০৬ ও নতুন ব্যাটসম্যান মেহেদী হাসান মিরাজ ২৬ রান নিয়ে চা বিরতিয়ে যায়। তখন ৭ উইকেট হারানো বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ২৫৭ রান। বিরতি থেকে ফিরে পার্টনারশিপে বেশি টানতে পারেননি মিরাজ, ফিরেছেন ২৯ রানে। এতে ভাঙে দুজনের ৫১ রানের জুটি। পরে দলের রান বাড়াতে হাত খুলে খেলেন জয়। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে যখন আউট হন, তখন নামের পাশে ১৩৭ রান। ৩২৬ বলের ইনিংসটি সাজান ১৫ চার আর ২ ছয়ে।
বিজ্ঞাপন
এতে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ দল গুটিয়ে গেছে ২৯৮ রানে। দক্ষিণ আফ্রিকা নিজেদের প্রথম ইনিংসে করে ৩৬৭ রান। ফলে প্রথম ইনিংসেই প্রোটিয়াদের থেকে ৬৯ রানে পিছিয়ে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সাইমন হারমার নেন সর্বোচ্চ ৪ উইকেট।
টিআইএস