প্রয়োজনে আবার হস্তক্ষেপের ইঙ্গিত পাপনের
ছবি : বিসিবি/রতন গোমেজ
দল গঠন থেকে শুরু করে একাদশ নির্বাচন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সব কাজ হয় সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের হাত ধরে। বলা যায় বোর্ডের ‘হর্তাকর্তা’ তিনি। এই বিষয়ে গণমাধ্যম থেকে সমর্থক, সবার কাঠগড়ায় উঠতে হয়েছে পাপনকে। মাঝে সব বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত ছিলেন। তাতে লাভ হচ্ছে না। এজন্য প্রয়োজনে আবার হস্তক্ষেপের ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন বিসিবি বস।
পাপনের বিপক্ষে গুরুতর অভিযোগ, ক্রিকেট আঙিনায় যেটি তার কাজ নয়, সেটিতেও প্রভাব খাটান তিনি। গুঞ্জন আছে, বয়সভিত্তিক দল থেকে শুরু করে জাতীয় দল, বড় টুর্নামেন্টের পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক সিরিজের স্কোয়াডে কে থাকবেন আর কে থাকবেন না, সেটিও পাপন নিজে নির্ধারণ করে দেন। ম্যাচের আগে ঠিক করে দেন একাদশ। কে কোন পজিশনে ব্যাটিং করবে, সেখানেও হস্তক্ষেপ থাকে পাপনের।
বিজ্ঞাপন
আগে সব বিষয়ে হস্তক্ষেপ করলেও নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন পাপন। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২ ম্যাচ টেস্ট সিরিজে ০-২ ব্যবধানে হার, কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না তিনি। এজন্য দলের প্রয়োজনে আবার হস্তক্ষেপ করার ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন পাপন।
রোববার মিপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পাপন বলেন, ‘আগে সব কিছুতেই জড়িত ছিলাম। এটা তো স্বীকার করি, অস্বীকার করছি না। কোনো একটা সময়ে মনে হয়েছে টিম আগের চেয়ে পরিপক্ব হয়েছে। ম্যানেজমেন্টও এখান আগের চেয়ে জানে অনেক কিছু। এখন একটা সময় হয়েছে ডেলিগেশনের। আস্তে আস্তে এটাকে একটু ছাড় দিতে হবে। এবং সেটাই করার চেষ্টা করেছিলাম। দ্বিতীয় হচ্ছে এটার জন্য আমাকে কথাও কম শুনতে হয়নি।’
বিজ্ঞাপন
পাপন আরও বলেন, ‘হস্তক্ষেপের কারণে তো অনেকে পছন্দ করে না। নিয়মিতভাবে সবাই আমার বিরুদ্ধে বলেছে। কেউ তো এটাকে সমর্থন করেনি। আমার সর্বশেষ হস্তক্ষেপ ছিল এশিয়া কাপে। যখন সৌম্য আর ইমরুলকে আমি নিয়ে যাই। ফ্লাই করে নিয়ে যাই এবং কারো সঙ্গে আলাপ না করে খেলাই। এটাই ছিল শেষ হস্তক্ষেপ।’
এদিকে ২০১৯ সালের আগস্টে বাংলাদেশ দলের হেড কোচের দায়িত্ব নেন রাসেল ডমিঙ্গো। দুই বছরের দায়িত্ব নিয়ে এরই মধ্যে বছর দেড়েক কাটিয়ে ফেলেছেন তিনি। ডমিঙ্গোকে সময় দিতেই মূলত হস্তক্ষেপ করা বাদ দিয়েছিলেন পাপন।
গণমাধ্যমের এক প্রশ্নের উত্তরে পাপনের জবাব, ‘এর আগেও অনেকদিন হস্তক্ষেপ করিনি। যখন আমি আর পারছিলাম না, তখন ইন্টারফেয়ার করেছি। এরপর নতুন কোচ আসছে একটু সময় দিতেই হবে। কোচিং স্টাফকে একটু দেখতেই হবে।’
করনোর কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল খেলা। ডমিঙ্গোর আমলে খুব বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি টাইগারদের। তবে ডমিঙ্গোর তত্ত্বাবধায়নে যে ৭টি টেস্ট খেলেছে টাইগাররা, তার ৬টিতেই হারতে হয়েছে। একমাত্র জয় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ঘরের মাঠে উইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাই ভালোভাবে নেননি পাপন। এই হারের জবাবদিহিতা চেয়ে বার্তা দেওয়া হবে বলে জানালেন তিনি।
পাপন বলেন, ‘এখন ওদেরকে জিজ্ঞেস করতে হবে ব্যাপারটা কি হচ্ছে। ব্যাপারটা আমরা মেনে নিতে পারি না। এটা বেসিক। সময়টা খুবই স্বল্প। আমরা এখনই চলে যাবো নিউজিল্যান্ড। নিউজিল্যান্ড থেকে এসেই সাত থেকে আট দিনের মধ্যেই চলে যাবো শ্রীলঙ্কা। এই সময়টায় খুব যে হুলস্থুল করে ফেলতে পারবো এমনটা না। কিন্তু তাদেরকে বার্তা দেওয়া হবে।’
টিআইএস/এনইউ