‘শেষ না হওয়ার আগ পর্যন্ত শেষ বলাটা ঠিক না’
ঢাকা টেস্টে কোথায় দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ দল? চতুর্থ দিন শেষে রীতিমত কাঁপছে স্বাগতিক শিবির। ইনিংস পরাজয়ের শঙ্কা মাথাচাড়া দিচ্ছে টাইগারদের। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ দলকে ৩৬৫ রানে আটকে দিয়ে শ্রীলঙ্কা তাদের প্রথম ইনিংসে তোলে ৫০৬ রান। এতে ১৪১ রানের লিড পায় সফরকারীরা। পরে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৪ রান তুলতে পেরেছে মুমিনুল হকের দল। এতে এখনো ১০৭ রানে পিছিয়ে তারা। হাতে মাত্র ৬ উইকেট।
দলের এমন অবস্থায়ও হারের আগে হার মানতে নারাজ অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। চতুর্থ দিনের খেলা শেষে সংবাদমাধ্যমকে এ কথা জানান তিনি।
বিজ্ঞাপন
সাকিব বলছিলেন, ‘এই অবস্থায় ব্যাটিং করা কঠিন। বিশেষ করে টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের জন্য। দুটি টেস্টই পাঁচ দিনে গিয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরেই এই সমস্যাটা হচ্ছে। আমি যখন দলে ছিলাম না, তখনো এটা হয়েছে। এখনো হচ্ছে। আমরা সম্প্রতি অনেকবারই ব্যর্থ হয়েছি। এই জায়গায় উন্নতির সুযোগ আছে। তবে এখনো যেহেতু শেষ হয়ে যায়নি, শেষ না হওয়ার আগ পর্যন্ত তো শেষ বলাটা ঠিক না।’
সঙ্গে যোগ করেন সাকিব, ‘এমন অবস্থাটা সবসময়ই কঠিন। চতুর্থ ইনিংস যেকোনো ব্যাটসম্যানের জন্যই কঠিন। তখন মাথার ভেতর অনেক কিছুই কাজ করে। ম্যাচের অনেক দিক মাথায় থাকে। ওই চাপটা সামলানো গুরুত্বপূর্ণ। যেটা আমরা করতে পারছি না। এটা আসলে ওই ব্যক্তি ক্রিকেটারই বলতে পারবে তারা কি অনুভব করছে।’
বিজ্ঞাপন
লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ২৪ রানে ৫ উইকেট হারানো টাইগাররা দ্বিতীয় ইনিংসে ২৩ রানে হারায় ৪ উইকেট। যেখানে বাকি ৩ উইকেট ছাপিয়ে আলোচনায় নাজমুল হোসেন শান্তর রান আউট। আসিথা ফার্নান্দোর বল পয়েন্টে আলতো করে খেললেন শান্ত। ফিল্ডার খুব কাছেই থাকায় এখান থেকে রান নেওয়া ঝুঁকি অনেক। সেই কাজটিই করলেন তিনি। দৌড় দিলেন রানের জন্য। এক হাতে বল ধরে নন-স্ট্রাইক প্রান্তে থ্রো করে স্টাম্প ভেঙে দেন জয়াবিক্রমা।
অথচ তার কিছুক্ষণ আগেই আউট হয়ে গেছেন তামিম ইকবাল। এমনিতেই চাপে দল। অযথা রান আউট হয়ে বাংলাদেশকে আরও বিপদে ফেলে দেন শান্ত। শান্তর এই আউটকে হতাশাজনক মনে করেন সাকিব।
সাকিবের ব্যাখ্যা, ‘রান আউট যেকোনো ম্যাচের যেকোনো পরিস্থিতিতেই খারাপ একটা দিক। বিশেষ করে টেস্ট ম্যাচে এরকম একটা পরিস্থিতিতে আরো বেশি ভয়ংকর। আমাদের জন্য হতাশাজনক অবশ্যই। এই পরিস্থিতিতে অনেক বেশি ঠাণ্ডা থাকা জরুরী। অবশ্যই নার্ভাসনেস থাকবে, ভেতরে ভয়ও কাজ করবে। এই পরিস্থিতি গুলোতে এই চাপটা হ্যান্ডেল করা গুরুত্বপূর্ণ। টেস্ট ক্রিকেটের মজাটাই এখানে।’
টিআইএস/এইচএমএ