ঢাকা টেস্টে প্রথম ইনিংসের পর ফের একবার ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ছয় ব্যাটার রানের খাতা না খুলে সাজঘরে ফিরে গিয়ে লজ্জার রেকর্ড গড়েছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসেও এরই মধ্যে দুইজন স্কোরারদের কাজ না বাড়িয়েই বিদায় নিয়েছেন। সেই দুই ব্যাটারের একজন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক।

মুমিনুল তার ব্যাটিং নিয়ে ‘নির্ভার’। কোচ রাসেল ডমিঙ্গো মনে করেন, অফ ফর্মে নেই মুমিনুল, শুধু রান পাচ্ছেন না এই যা। তো সেই ফর্মে থাকা নির্ভার মুমিনুলের সাম্প্রতিক ব্যাটিং পরিসংখ্যানে একটু চোখ বুলানো যাক, সর্বশেষ ১০ ইনিংসে মাত্র ২ বার দুই অঙ্ক ছুঁতে পেরেছেন তিনি, যেখানে সর্বোচ্চ স্কোর ৩৭ রান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলমান ঢাকা টেস্টের দুই ইনিংস সহ সর্বশেষ ৭ ইনিংসেই ফিরেছেন দুই অঙ্ক ছোঁয়ার আগে। ইনিংসগুলো হলো ০, ২, ৬, ৫, ২, ৯, ০।

ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে আসিথা ফার্নান্দোর বলে খোঁচা মেরে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে একই ভঙ্গিমায় নিজের উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, বোলারের নামটা বদলেছে শুধু। এবার কাসুন রাজিথার বলে আউট হয়ে দলের বিপদ বাড়িয়েছেন তিনি।

ক্যারিয়ারের প্রথম ১৪ টেস্টে ৬০ এর বেশি গড় অর্জন করা মুমিনুল ক্রমাগত খারাপ করতে করতে গড় নামিয়েছেন ৪০ এর নিচে। একটা লম্বা সময় তার চেয়ে বেশি টেস্ট গড় ছিল না কোনো বাংলাদেশী ব্যাটারের। অথচ বর্তমানে তার গড় তামিম ইকবাল (৩৯.৫৩) ও সাকিব আল হাসানের (৩৮.৯৯) চেয়েও নিচে (৩৮.৩১)।

সাদা পোশাকে এই নিয়ে ৫৩ ম্যাচ খেলেছেন মুমিনুল, যার মাঝে রানের খাতা খুলতে ব্যর্থ হয়েছেন ১২ বার। সবশেষ ১০ ম্যাচেই চারবার ঘটেছে এই ঘটনা। এ সময়ে ১৮ ইনিংসে ১৯.২৩ গড়ে তিনি করেছেন ৩২৭ রান। ফিফটির স্বাদ পেয়েছেন মাত্র দুবার।

মুমিনুলের ফর্মের দুরবস্থা নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করা হয়েছিল সাকিব আল হাসানকে। বাংলাদেশ অলরাউন্ডার এককথায় বলে দিয়েছেন, ‘মুমিনুলের চেয়ে ভালো বিকল্প আমাদের হাতে নেই।’

এইচএমএ