বিশ্বকাপের প্রথম হ্যাটট্রিক মিয়াপ্পানের
অষ্টম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দেখা পেল প্রথম হ্যাটট্রিকের। শ্রীলঙ্কান ইনিংসের ১৫তম ওভারে কার্তিক মিয়াপ্পান এই কীর্তি গড়েছেন। সেই ওভারের চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ বলে ফেরালেন ভানুকা রাজাপাকশে, চারিথ আসালঙ্কা আর দাসুন শানাকাকে ফিরিয়ে এই কীর্তি গড়েন সংযুক্ত আরব আমিরাতের এই লেগ স্পিনার।
পাওয়ারপ্লেতে ৫২ আর দশ ওভার শেষে ৮৪ রান তোলা শ্রীলঙ্কা তখন ছুটছিল বড় স্কোরের দিকে। মাঝের ওভারে খুইয়েছে মোটে একটি উইকেট। তাতে রানের চাকাও খানিকটা গতি হারিয়েছিল। তবে ইনিংসের ১৪তম ওভারে ১৫ রান তুলে আবারও ঝড়ের আভাস দিচ্ছিল লঙ্কানরা।
বিজ্ঞাপন
এরপরই বলটা মিয়াপ্পানের হাতে তুলে দেন অধিনায়ক রিজওয়ান। ওভারের প্রথম বলে দুই ও এর পরের বলে এক রান দিয়েছিলেন, পরের বলে ডট দিয়ে খানিকটা চাপ তৈরি করেছিলেন রাজাপাকশের ওপর। সে চাপটা সরাতেই চতুর্থ বলে জায়গা বানিয়ে কভারের ওপর দিয়ে বল সীমানাছাড়া করতে চেয়েছিলেন তিনি। হয়নি, ডিপ কভারে বাসিল হামিদের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি।
পরের বলে আসালঙ্কার বিদায় হয় তার দারুণ এক গুগলিতে। খানিকটা বাড়তি বাউন্স পেয়েছিল বলটা, তাতেই সর্বনাশ হলো আসালঙ্কার। ব্যাটের কোনা ছুঁয়ে বলটা গিয়ে জমা পড়ে উইকেটরক্ষক বৃত্ত অরবিন্দের হাতে।
বিজ্ঞাপন
এরপর দাসুন শানাকাকে তিনি বোল্ড করেন আরও এক দারুণ গুগলিতে। তাতেই প্রথম হ্যাটট্রিকের দেখা পেয়ে যায় বিশ্বকাপ, পেয়ে যান মিয়াপ্পান নিজেও।
শ্রীলঙ্কা অবশ্য আগের ম্যাচেও হ্যাটট্রিকের মুখে পড়ে গিয়েছিল। বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে নামিবিয়ার বেন শিকোঙ্গো দুই লঙ্কান ব্যাটারকে টানা দুই বলে বিদায় করেছিলেন। যদিও দুশ্মন্থ চামিরা ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন সেবার, যা আজ পারেননি শানাকা। তাতেই বিশ্বকাপ পেল প্রথম হ্যাটট্রিকের দেখা।
এনইউ