কথায় আছে উইনিং কম্বিনেশন ভাঙতে নেই। জয়ী দলটা নিয়েই খেলতে হয় পরের ম্যাচে। কিন্তু বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট সেই পথে হাঁটবে কিনা সেটাই বড় প্রশ্ন। কারণ হোবার্টে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জয় পাওয়া দলটাতে নাকি একটা পরিবর্তন আসছে, এমনটাই গুঞ্জন! একজন স্পিনার ঢুকে যেতে পারেন সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডের ম্যাচটাতে। 

যদিও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলার আগে কিছুটা রহস্য রাখলেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশ অধিনায়ক সংগত কারণেই এনিয়ে পরিস্কার করে কিছু বললেন না। তবে সিডনির উইকেটে বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে একজন পেসার বসিয়ে একজন স্পিনার নামালে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না। 

প্রোটিয়াদের বিপক্ষে বৃহস্পতিবারের ম্যাচের একাদশ নিয়ে সাকিব বলছিলেন, 'দেখুন আমি যেটা বললাম আমরা সবসময় ওপেন থাকতে চাই। আমাদের কম্বিনেশন ঠিক করবো আমরা মাঠে ডাইমেনশন দেখে। প্রতিপক্ষ দেখার পরে, পিচে কেমন সাহায্য থাকতে পারে, কাদের জন্য সাহায্য থাকতে পারে। আমাদের ব্যাটসম্যান বেশি দরকার নাকি বোলার বেশি দরকার। পেসার হলে ভালো হয় নাকি স্পিনার হলে ভালো হয়, সবকিছু পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে। আর সবাই জানে যে কার কী ভূমিকা। আমরা সবসময় প্রস্তুত আছি। এমন না যে পরিবর্তন করতেই হবে, সেটা করতে হলে পুরো দলই প্রস্তুত রয়েছে।'

তবে একটু গুঞ্জন ঠিকই ভেসে বেড়াচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বৃহস্পতিবার একাদশে জায়গা পেয়ে যেতে পারেন মেহেদী হাসান মিরাজ। সেক্ষেত্রে নাম কাটা পড়বে কার তার উত্তর দেওয়া মুশকিল। কারণ পেস বোলাররা তো হোবার্টে আগুন ঝরিয়েছেন। অফফর্মে থাকা মুস্তাফিজও যেখানে সাবলীল। তাইতো একাদশে পরিবর্তন গুঞ্জনের পালে তেমন হাওয়া দেওয়া যাচ্ছে না।

ওপেনিং নিয়ে নির্ভার দল। শুরুর জুটি গত কয়েক বছর ধরেই দুশ্চিন্তার কারণ। তবে ডাচদের বিপক্ষে দল কিছুটা হলেও পেয়েছে স্বস্তি। সৌম্য সরকার-নাজমুল হোসেন শান্ত মিলে করেছেন ৪৩ রান। ব্যাপারটায় খুশি সাকিব। দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হওয়ার আগে তাইতো বলছিলেন, 'অবশ্যই এটা আমাদের কনফিডেন্স দেবে। আমাদের কাছে খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ না যে কত রান হলো স্কোরবোর্ডে। কী অ্যাপ্রোচটা ছিল ব্যাটসম্যানদের সেটাই বড় কথা। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। দুজনই খুবই পজিটিভ মাইন্ডসেটে ছিল। এই ব্যাপারটাই আমরা আসলে চাই।'

এখানেই শেষ নয়, টিম ম্যানেজমেন্ট থেকেও এবার অবারিত স্বাধীনতা নিয়ে মাঠে নামছে দল। সাকিব নিজেই নিশ্চিত করলেন, কেউ যদি নেমে প্রথম বলেই ছক্কা মারতে চায় তাকে আটকানো হবে না। বলছিলেন, 'আমাদের যা কথা বলার তা প্রস্তুতি সময় পর্যন্ত ছিল।  এখন আসলে কথা বলে খুব বেশি সাহায্য হবে না। এখন যদি বেশি শিখতে যাই সেটি হবে পরীক্ষার আগের রাতে পড়ার মতো। আমার ধারণা আমাদের প্রস্তুতি ভালো আছে। সবাই তার মতো গেম প্ল্যান সেট করবে। কিভাবে সে বিপক্ষ বোলার বা ব্যাটসম্যানকে হ্যান্ডেল করবে সেটা ইনডিভিজুয়ালি খেলোয়াড়ের উপর নির্ভর করবে। তাদের সবাইকে সেই স্বাধীনতা দেওয়া আছে। কেউ যদি মনে করে প্রথম বলে যেয়ে চার ছয় মারতে পারে বা প্রথম বলে বাউন্সার কিংবা ইয়র্কার করবে সবার সেই স্বাধীনতা আছে।'

তার মানে পুরোটাই নির্ভার থেকে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। সাফল্যের পথে এটাও একটা মন্ত্র। চাপে কাবু হয়ে দুশ্চিন্তায় থেকে আর হেরে যাওয়ার ভয় নিয়ে আসলে কোন অর্জন হয় না! 

এটি/এনইআর