নিউজিল্যান্ডে ব্যাটসম্যানদের মুখে হাসি, হতাশ করলেন মুস্তাফিজরা
সংক্ষিপ্ত স্কোর
তামিম একাদশ: ৫০ ওভারে ২৩৩/৫ (নাঈম শেখ ১২, সৌম্য ২৮, মাহমুদউল্লাহ ৩৫, শেখ মেহেদী ৩৮, মিঠুন অপরাজিত ৬৬, বেনজি কালহানে অপরাজিত ৪৬; রুবেল ৪/৪২, সাইফউদ্দিন ১/৪০)
নাজমুল একাদশ: ৪৬.৫ ওভারে ২৩৫/১ (নাজমুল শান্ত ৪০ অব., লিটন ৫৯ অব., মুশফিক অপরাজিত ৫৪, মিরাজ ৫০ অব., সাইফউদ্দিন অপরাজিত ১৬; মুস্তাফিজ ১/২১)
ফল: নাজমুল একাদশ ৯ উইকেটে জয়ী।
করোনার মধ্যে নিউজিল্যান্ড সফরে গেছে বাংলাদেশ দল। সেখানে তিনটি ওয়ানডের সঙ্গে ৩টি টি-টোয়েন্টি খেলবে টাইগাররা। ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে শুরু হবে দুই দলের লড়াই। যার প্রথম ম্যাচ আগামী ২০ মার্চ। কিউইদের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে নিজেদের মধ্যে ভাগ হয়ে একটি প্রস্তুতি ম্যাচে মাঠে নেমেছিল সফরকারীরা। যেখানে ব্যাটসম্যানরা সফল দিন পার করলেও বোলারদের সাফল্য যেন হয়ে গিয়েছিল দূর আকাশের তারা।
বিজ্ঞাপন
ম্যাচে আগে ব্যাট করে তামিম একাদশ। তারা অবশ্য ব্যাট হাতে খুব আশা দেখাতে পারেননি। নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে তুলেছেন কেবল ২৩৩ রান, যার ৪২ আবার এসেছে স্থানীয় ক্রিকেটার বেনজি কালহানের ব্যাট থেকে! তামিম একাদশের হয়ে মোহাম্মদ মিঠুন সর্বোচ্চ ৬৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। শেখ মেহেদী হাসান ৩৮, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৩৫, সৌম্য সরকার ২৮ ও নাঈম শেখ ১২ রান করেন। নাজমুল একাদশের বোলারদের মধ্যে এক রুবেলই যা পারফর্ম করেছেন। ৪২ রান খরচায় তুলে নিয়েছেন ৪ উইকেট। বাকি একটা উইকেট গিয়েছে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ঝুলিতে।
জবাব দিতে অবশ্য খুব একটা বেগ পেতে হয়নি নাজমুল একাদশকে। জয় তুলে নিয়েছে ১৯ বল হাতে রেখে ৯ উইকেটের ব্যবধানে। তবে ম্যাচে ফলাফলের চেয়ে মূখ্য বিষয় ছিল ব্যাটিং অনুশীলন। আর তাই নাজমুল একাদশ, মেহেদি হাসান মিরাজ আর লিটন দাস অন্যদের ব্যাটিংয়ের সুযোগ দিতে উঠে গেছেন আউট না হয়েই। অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন লিটন কুমার দাস, মুশফিকুর রহিম ও মেহেদী হাসান মিরাজ। এছাড়াও শান্ত ৪০ রান করে উঠে যান। লিটন আউট হওয়ার আগেই সাজঘরে ৫৯ রানে, আর মিরাজ ফিরেছেন ৫০ রানে। মুশফিকুর রহিম ৫৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। তামিম একাদশের সবেধন নীলমণি উইকেটটি এসেছে মুস্তাফিজুর রহমানের কল্যাণে।
বিজ্ঞাপন
নিউজিল্যান্ড যাওয়া ২০ সদস্যের স্কোয়াডের ১৯ জনই নেমেছিলেন মাঠে। চোটের কারণে খেলেননি অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। সম্প্রতি অনুশীলনের সময় হাঁটুতে চোট পেয়েছেন তিনি। দুই দলের একাদশের কোটা পূরণের জন্য ও অতিরিক্ত খেলোয়াড় হিসেবে নিউজিল্যান্ডের স্থানীয় ৫ ক্রিকেটারকে তামিম একাদশ ও নাজমুল একাদশে সুযোগ দেওয়া হয়।
টিআইএস/এনইউ/এটি