সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে সফরকারী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দাপুটে জয় পেয়েছিল পাকিস্তান। তৃতীয় ম্যাচে স্বাগতিকরা তার ছিটেফোঁটাও দেখাতে পারেনি। তবে শেষ দিকে এসে কিউইদের জন্য গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়ে যান ইফতিখার আহমেদ। ৮ নম্বরে নেমে তিনি প্রায় জিতিয়েই ফেলেছিলেন। ব্যাট করেছেন আড়াইশ স্ট্রাইক রেটে। সমীকরণ ছিল ইফতিখারকে থামালেই নিজেদের প্রথম জয় পাবে কিউইরা। আর সেটিই করেছেন পেসার জিমি নিশাম। তার বদৌলতে সফরকারীরা ৪ রানে জয় পেয়েছে।

সোমবার (১৭ এপ্রিল) রাতে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করতে নামে নিউজিল্যান্ড। আগের দুই ম্যাচের মতো এবারও ধীরগতির শুরুই করেছিল সফরকারী দলটি। তবে শেষ পর্যন্ত দেড়শ রান পার করাতে বড় অবদান রাখেন অধিনায়ক টম ল্যাথাম। এছাড়া ড্যারিল মিচেলের ব্যাট থেকে আসে ২৬ বলে ৩৩ রান।

এদিন নিউজিল্যান্ডের মাত্র ২০ রানেই ওপেনার চাঁদ বোয়েসকে বোল্ড করে দেন শাহিন আফ্রিদি। এরপর উইল ইয়ং আউট হন ৫৬ রানে। শাদাব খানের বলে আউট হওয়ার আগে তিনি ১৭ রান করেন। তাদের রানের চাকা তখনও ধীরগতিতে আগাচ্ছিল। এরপর ল্যাথামের সঙ্গে মিচেলের জুটিতে কিছুটা গতি পায় কিউইদের ইনিংস। এরপর কয়েক রানের ব্যবধানে দুজনই ফিরে যান। তাদের জুটিতে আসে ৬৫ রান।

শেষ দিকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়লেও আগের দুই ম্যাচে রান পাওয়া মার্ক চ্যাপম্যানের ৯ বলে ১৬ এবং নিশামের ৬ বলে ১০ রানের সুবাদে রান দেড়শ’র কোঠা পেরোয়। পাকিস্তানের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন শাহিন আফ্রিদি ও হারিস রউফ।

পাকিস্তানের দ্বিতীয় দ্রুততম ফিফটির পথে ইফতিখারের ছয়ের বাউন্ডারি

১৬৪ রান তাড়ায় দুই ওপেনার বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানকে ১৭ রানের মধ্যে হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান। বাবর ৬ বলে ১ আর রিজওয়ান ১০ বলে ৬ রান করেন। মিডল অর্ডার ব্যাটাররাও হাল ধরতে না পারলে ৮৮ রানে পড়ে যায় ৭ উইকেট। যেখান থেকে ইফতিখার-ঝড়ে জয়ের সম্ভাবনা জেগে ওঠা, শেষ ওভারে ঝড় থেমে যাওয়ার পর আসে হারও।

ইফতিখার যখন ক্রিজে আসেন তখনও পাকিস্তানের ৩৫ বলে দরকার ৭৬ রান। সেখান থেকে ফাহিম আশরাফকে সঙ্গে নিয়ে জয় নাগালে নিয়ে আসেন ইফতিখার। ভালো সঙ্গ দেন ফাহিমও। ২ ছক্কা ২ চারে ১৪ বলে ২৭ রান করে ফাহিম আউট হন উনিশতম ওভারে। ম্যাট হেনরির করা ওভারের শেষ তিন বলে নাসিম শাহ এক রানও নিতে পারেননি। শেষ ওভারে ইফতিখারের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৫ রানের। প্রথম বলে ৬ আর তৃতীয় বলে চার মেরে লক্ষ্যটা তিনি প্রায় মুঠোয় নিয়ে আসেন। কিন্তু চতুর্থ বলে আর সীমানা পার করতে পারেননি। লং অনে ড্যারিল মিচেলের ক্যাচে থেমে যায় তার ২৪ বলে ৬০ রানের ইনিংস। যে ইনিংসের পথে ছিল ৬টি ছয় আর তিনটি চার। এর মাধ্যমে ইফতিখার পাকিস্তানের হয়ে দ্বিতীয় দ্রুততম ২০ বলে ফিফটির রেকর্ড গড়েন।

ইফতিখারের আউটের পরও জয়ের সুযোগ ছিল পাকিস্তানের। কিন্তু নিশামের পঞ্চম বলে ব্যাটই লাগাতে পারেননি রউফ। শেষ বলটি তুলে মারলেও ক্যাচ হন মিড উইকেটে। ১৫ রানের বিপরীতে তারা তুলতে পারেন ১০ রান। কিউইদের হয়ে তিনটি উইকেট নেন নিশাম। এছাড়া দুটি করে উইকেট নিয়েছেন অ্যাডাম মিলনে ও রাচিন রবীন্দ্র।

প্রথম দুই ম্যাচে জেতায় পাঁচ ম্যাচ সিরিজে পাকিস্তান এখনও ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে আছে।

এএইচএস