বেশি দিন আগের কথা নয়, ফ্লাশব্যাকে তিন মাস পেছনে ফিরে তাকালেই দেখা যাবে ব্যাটার তাওহীদ হৃদয়ের উত্থানের গল্প। সবশেষ বিপিএলে সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে খেলে নতুন করে আবারও সবার সুনজরে আসেন তিনি। অবশ্য এরপরই ডাক পান বাংলাদেশ জাতীয় দলে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে থাকেন দাপটের সঙ্গে। ফলস্বরূপ টি-টোয়েন্টি অভিষেকের পর সুযোগ পেয়েছিলেন ঘরের মাটিতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে দলেও।

বাংলাদেশ দল এখন আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে ইংল্যান্ডে অবস্থান করছে। টাইগারদের এই সফরে রয়েছেন হৃদয়ও। বুধবার চেমসফোর্ড থেকে দল প্রসঙ্গে হৃদয় বলেন, সবাই খুব হেল্পফুল। কখনো কাউকে মনে হয় না খুব সিনিয়র। সবার সঙ্গে ফ্রি। যখন যার যেটা প্রয়োজন সবাই অনেক হেল্প করে। আমি মনে করি এখন যে অবস্থায় আছি, আলহামদুলিল্লাহ ভালো অবস্থায় আছি। এটা ধরে রাখতে পারলে ইনশাআল্লাহ ভালো ফলাফল করব। আমাদের বন্ডিং অনেক ভালো। এখানে এসে মনেই হয়নি আমি নতুন খেলোয়াড়। আগেও একসঙ্গে খেলেছি। কিন্তু জাতীয় দলে তো প্রথম দুই সিরিজ। একবারও অস্বস্তি বোধ করিনি। সবার কাছ থেকে সাপোর্ট পাচ্ছি।

জাতীয় দলে এখন পাঁচ নম্বরে ব্যাট করছেন হৃদয়। তবে তার দাবি যে কোনো পজিশনে খেলতে প্রস্তুত তিনি। তিনি বলেন, ঘরোয়া ক্রিকেটে সাধারণত আমি ওয়ানডেতে ৪-৫ নম্বরেই ব্যাট করে থাকি। যদি দল চায় অন্য কোথাও খেলাবে, সেটাই হবে। দলের চাহিদা অনুযায়ী সবসময় চেষ্টা করব, দলের জন্য কিছু করতে। মাঠের আউটফিল্ড অনেক ফাস্ট। কিছু কিছু সাইড একটু ছোট। যারা সেট হবো, যার যেদিন সে যেন ভালোভাবে ইনিংস শেষ করতে পারে।

প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে ব্যাটাররা ঝুঁকি নিতে পারছিল না দাবি করে হৃদয় বলেন, কাল এমন একটা পরিস্থিতি ছিল সব সময় চাইলেও ঝুঁকি নিতে পারছিলাম না। একটু পরপরই উইকেট হারিয়েছি আমরা। আমার মনে হচ্ছিল ক্যালকুলেটিভ রিস্ক নিতে হবে। যদি ৩০০-৩৫০ রান করতে চাই ক্যালকুলেটিভ রিস্ক নিতেই হবে।

এসএইচ/এবিএস