তিনটা ডটের পর চতুর্থ বলে ফাঁকা মিড উইকেটে ঠেলে দিয়ে এক রান। আর এতেই ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি পেয়ে গেলেন হ্যারি টেক্টর। অথচ এই ডানহাতি ব্যাটার মাত্র ২৩ রানেই ফিরতে পারতেন। শরীফুল ইসলামের হাত ফসকে যাওয়া ক্যাচটি আক্রমণাত্মক টেক্টরকে আরও উজ্জীবিত করে তোলে। ইনিংসের শুরু থেকেই তিনি বোলারদের ওপর বেশ চড়াও ছিলেন। ৯৪ বলে সেঞ্চুরি পাওয়া এই ব্যাটার হাঁকিয়েছেন ৬টি ছক্কা। তার ব্যাটে ভর করেই আইরিশরা বাংলাদেশকে চোখ রাঙাচ্ছে। ৩৬ ওভার শেষে আয়ারল্যান্ডের সংগ্রহ ৫ ‍উইকেটে ২০১ রান।

৩১তম ওয়ানডেতেই চতুর্থ সেঞ্চুরি পেয়েছেন টেক্টর। যার সবকটিই তিনি গত ১২ মাসের মধ্যে করেছেন। টেক্টর ছাড়াও চার জন আইরিশ ব্যাটারদের ৪ বা এর বেশি ওয়ানডে সেঞ্চুরি আছে। তবে ম্যাচের হিসেবে কেউই এত দ্রুত ৪টি সেঞ্চুরি করেননি। উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড ও পল স্টার্লিং—দুজনেরই লেগেছিল ৩২টি করে ম্যাচ।

টেক্টরকে ভালোই সঙ্গ দিচ্ছেন জর্জ ডকরেল। তিন ছয়ে এখন পর্যন্ত তিনি ২৪ বলে ৩৫ রান করেছেন। টেক্টরের সাহসী ইসিংসই তাকেও হাত খুলে মারার আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে। এর আগে তাইজুল ইসলামের লেংথ বলে সুইপ করতে গিয়ে মিস করে যান কার্টিস ক্যাম্ফার। আম্পায়ার পল রেনল্ড বেশ খানিকটা সময় নিয়ে আঙুল তুলেছেন। সঙ্গে সঙ্গেই ক্যাম্ফার রিভিউ নেন, তবে সফল হয়নি সেটি। ১১ বলে তিনি ফেরার আগে করেছেন ৮ রান।

এর আগে ম্যাচের বেশ খরুচে বোলার শরীফুল দ্বিতীয় স্পেলের দুই ওভারে প্রতিপক্ষ শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন। তার বলেই টেক্টর-বালবার্নির ৯৮ রানের জুটি ভাঙে। আউট হওয়ার আগে অধিনায়ক বালবার্নি করেন ৪২ রান। এরপর ক্রিজে নামা লরকান টাকারকেও ১৬ রানে ফেরান শরীফুল। ম্যাচের শুরুতে বাংলাদেশ ছিল বেশ উজ্জীবিত। হাসান মাহমুদের সুইং বোলিংয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে আইরিশ ওপেনাররা। এরপর তারা আউট হলেও, প্রথম ইনিংসের দখল নিজের করে নেন টেক্টর।

এএইচএস