বিশ্বকাপের মূলপর্বে জায়গা করে নিতে জিম্বাবুয়েতে চলমান বাছাইপর্বে খেলছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ভারত বিশ্বকাপে খেলতে ১০ দলের মধ্যে সাবেক এই বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের শীর্ষ দুইয়ে থাকতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রকে হারিয়ে উইন্ডিজরা সেই প্রতিযোগিতার শুভ সূচনা করে। দ্বিতীয় ম্যাচে তারা মুখোমুখি হয় নেপালের। যেখানে আগে ব্যাট করে উইন্ডিজ ব্যাটার শাই হোপ কয়েকটি রেকর্ড গড়েছেন। আর তার দলও জিতে নিয়েছে ১০১ রানের বড় ব্যবধানে।

এদিন আগে ব্যাট করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শাই হোপ ও অধিনায়ক নিকোলাস পুরান জোড়া সেঞ্চুরি করেছেন। যাতে ভর করে নেপালের বিপক্ষে তারা ৩৩৯ রানের বড় লক্ষ্য ছুড়ে দেন। অথচ ইনিংসের শুরুতেই দুই উইকেট হারিয়ে তাদের বিপদে ফেলে দেয় নেপাল। এরপরই ২১৬ রানের অনবদ্য জুটি গড়েন হোপ-পুরান।

এই ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে নিজের উইকেটখরা কাটিয়েছেন সন্দীপ লামিচানে। এর আগের দুই ম্যাচে তিনি উইকেটশূন্য ছিলেন। অথচ আগের ৩৩ ইনিংস টানা উইকেট পেয়েছিলেন নারী নিপীড়নের দায়ে অভিযুক্ত হওয়া এই বিশেষজ্ঞ স্পিনার। উইন্ডিজ ওপেনার ব্রেন্ডন কিংকে ফিরিয়ে তিনি বাছাইপর্বে উইকেটের সূচনা করেছেন। 

হোপ ও পুরান—দুজনই সেঞ্চুরি করেছেন ১০০-পেরোনো স্ট্রাইক রেটে। হোপ ১২৯ বলে ১৩২ রানের ইনিংসে ১০টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ৩টি ছক্কা। ৯৪ বলে ১১৫ রানের ইনিংসে হোপের সমান চারের সঙ্গে একটি বেশি ছক্কা মারেন পুরান। হোপ ফিফটি পেয়েছিলেন ৭৩ বলে, পরের ধাপে তিনি ইনিংসের গতি বাড়িয়ে দেন। পুরানও শুরুতে একটু সময় নেন, ফিফটি করতে তাঁর লাগে ৫১ বল। তবে সেঞ্চুরি পান ৮১ বলেই। এ নিয়ে ১৭তম বার একই ইনিংসে দুজন ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরির দেখা পেলেন।

হোপের এই ইনিংস বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর। একইসঙ্গে ২০১৯ বিশ্বকাপের পর এটি তার নবম সেঞ্চুরি। যার মাধ্যমে তিনি পেছনে ফেলেছেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমকে। তার সেঞ্চুরির সংখ্যা ৮টি। গত বিশ্বকাপের পর ওয়ানডেতে ৬টি সেঞ্চুরি করেছেন আরেক পাকিস্তানি ব্যাটার ফখর জামান। এছাড়া একই সময়ে ৫টি করে সেঞ্চুরি রয়েছে আয়ারল্যান্ডের পল স্টার্লিং এবং বিরাট কোহলির।

এদিকে হোপ-পুরানের পর ইনিংসের শেষদিকে ঝড়ো ব্যাটিং করেছেন রোভম্যান পাওয়েল (১৪ বলে ২৯) ও জেসন হোল্ডার (১০ বলে ১৬ রান)। শেষ ১০ ওভারে ক্যারিবিয়ানরা ৯৬ রান তোলে। নেপালের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নিয়েছেন লালিত রাজবানশি।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে পাঁচে নামা আরিফ শেখ করেছেন ৬৩ রান। এছাড়া গুলশান ঝার ব্যাট থেকে আসে ৫৮ বলে ৪২ রান। এছাড়া নেপাল ইনিংসে উল্লেখযোগ্য কিছু নেই তেমন। বড় লক্ষ্য তাড়ায় তাদের লড়াকু ইনিংস আর জুটির প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তারা সেটি করতে পারেনি, উইকেট হারিয়েছে নিয়মিত। সর্বোচ্চ ৬৮ রান আসে সপ্তম উইকেটে, আরিফ-ঝায়ের জুটি থেকে।

অবশ্য ১৯৭ রানে ৭ উইকেট হারালেও নেপাল অলআউট হয় ইনিংসের ২ বল বাকি থাকতে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে রোস্টন চেজ ছাড়া উইকেটের দেখা পান বাকি ৫ বোলারই। ৩৪ রানে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়ে দিনের সেরা বোলার হোল্ডার।

এএইচএস