ছবি: সংগৃহীত

প্রথম ওয়ানডেতে বাজে ব্যাটিংয়ে শেষ পর্যন্ত হেরেছিল বাংলাদেশ। তাই সিরিজে টিকে থাকতে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জয়ের বিকল্প নেই স্বাগতিকদের। একদিকে সিরিজ বাঁচানোর লড়াই, অন্যদিকে নিয়মিত অধিনায়ক তামিমের অনুপস্থিতি সবমিলিয়ে কিছুটা হলেও বাড়তি চাপে বাংলাদেশ। এমন ম্যাচে টস জিতে আগে ফিল্ডিং করছে লিটন দাসের দল।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ ৩৮ ওভারে ১৬৪/৭ (আফগানিস্তান ৩৩১/৯) 

 

প্রথমবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ হারল বাংলাদেশ

৬৯ রান করে মুশফিক সাজঘরে ফিরলে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস। কারণ ফিল্ডিংয়ের সময় আঘাত পাওয়া এবাদত আর ব্যাটিংয়ে নামেননি। ফলে ব্যাটিং ব্যর্থতায় দ্বিতীয় ম্যাচেও বড় হার বাংলাদেশের। ১৪২ রানের জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে সফরকারীরা। আর এবারই প্রথম বাংলাদেশের বিপক্ষে কোনো ওয়ানডে সিরিজে জয় পেল আফগানিস্তান। 

আশা জাগিয়েও ফিরলেন মিরাজ

৩৭তম ওভারে প্রথম উইকেট হারিয়েছিল আফগানিস্তান, বাংলাদেশ হারাল সপ্তম উইকেট। যে অসম্ভবের আশা জিইয়ে রেখেছিলেন তিনি ও মুশফিক, সম্ভবত শেষ সেটিও। মুজিবের নবম ওভারে স্লগ করতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন মিরাজ, ৪৮ বলে ২৫ রান করে। মুশফিকের সঙ্গে তার জুটিতে উঠেছে ৮৭ রান।

মুশফিকের ফিফটি

অনেকটা ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়েই পড়ছেন মুশিফিক! টপ অর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতার দিনে দলকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলাতর চেষ্টা করছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। ৩৫তম ওভারের শেষ বলে রশিদ খানকে কাভারে সিঙ্গেল নিয়ে ক্যারিয়ারের ৪৫তম ওয়ানডে ফিফটি পূর্ণ করেন মুশফিক। মাইলফলকে ছুঁতে তিনি খরচ করেছেন ৬২ বল।

মুশফিক-মিরাজের ব্যাটে লড়ছে বাংলাদেশ

আম্পায়ার আউট দিলেও রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান মিরাজ। এরপর মুশফিককে যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছেন তিনি। এই দুইজনের ব্যাটে ব্যাটিং বিপর্যয় কাটিয়ে কিছুটা হলেও খেলায় ফিরেছে বাংলাদেশ। 

২০২২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি, চট্টগ্রাম। প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। ৪৫ রানেই ৬ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর সপ্তম উইকেটে মেহেদী হাসান মিরাজ ও আফিফ হোসেন গড়েন ১৭৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। তবে সেবার লক্ষ্য ছিল ‘মাত্র’ ২১৬ রান।

এবার একই ভেন্যুতে একই প্রতিপক্ষের সঙ্গে রান তাড়ায় ৭২ রানে ৬ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। ক্রিজে এখন মুশফিকের সঙ্গী সেই মিরাজ। কিন্তু এবার লক্ষ্য ৩৩২ রান। বাকি ১৭ ওভারে ১১ রানের বেশি ওভারপ্রতি তুলতে হবে তাদের।

ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশ

শুরুর ধাক্কা সামলে ওঠার চেষ্টা করছিলেন সাকিব-হৃদয়। তবে ১৬ রানের এবশি করতে পারেননি হৃদয়। এরপর সাকিবও আর বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না। উইকেটে থিতু হয়েও ২৯ বলে ২৫ রান করে আউট হন সাকিব। এরপর উইকেটে এসে গোল্ডেন ডাক খেয়েছেন আফিফ হোসেন। রশিদের গুগলিতে রীতিমতো চোখে সর্ষে ফুল দেখেছেন লোয়ার মিডল অর্ডার ব্যাটার। তার বিদায়ে ৭২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে বাংলাদেশ।

ব্যর্থ লিটনের পথে শান্ত-নাঈমও 

বড় লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা একেবারেই ভালো করতে পারল না বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার দিন প্রথম ওভারটি মেডেন দিয়েছেন মোহাম্মদ নাঈম। তামিমের বদলে স্কোয়াডে ফেরা এই তরুণ ওপেনার ফারুকির পেস আর সুইং সামাল দিতে হিম-শিম খেয়েছেন। আরেক ওপেনার লিটন অবশ্য আক্রমণাত্মক শুরু করেছিলেন। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে মুজিবুর রহমানকে টানা দুই চার মেরে ভালো শুরুর আভাস দেন। কিন্তু পরের বলেই লেগবিফোরের ফাঁদে পড়েন। তবে রিভিউ নিয়ে সেই যাত্রায় বেঁচে যান তিনি। জীবন পেয়েও বেশি দূর এগোতে পারেননি।

ফারুকির করা পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে তুলে মারতে গিয়েছিলেন লিটন, তবে টাইমিং করতে পারেননি মোটেও। শর্ট মিডউইকেটে মোহাম্মদ নবির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। 

তিনে নেমে দলের হাল ধরতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে করা মুজিবের বলটা টার্ন করে বেরিয়ে যাচ্ছিল। লাইন পুরোই মিস করে গেছেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার। তাতেই তার স্টাম্প উপড়ে গেছে।

এই দুইজনকেই অনুসরণ করলেন নাঈমও। ৯ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। ফারুকিকে মারতে গিয়ে উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে কাটের মতো কিছু করতে গিয়ে স্টাম্পে বল ডেকে এনেছেন দুই বছর পর ওয়ানডে খেলতে নামা বাঁহাতি এই ওপেনার। বড় লক্ষ্য তাড়ায় নবম ওভারে বাংলাদেশ হারিয়ে ফেলেছে ৩ উইকেট, সেটিও মাত্র ২৫ রান তুলতেই। শুরুতেই এলোমেলো বাংলাদেশ।

দুই সেঞ্চুরিতে আফগানিস্তানের রান পাহাড়

শেষ দিকে কিছুটা লাগাম টেনে ধরলেও বড় সংগ্রহই গড়েছে আফগানিস্তান। গুরবাজ-ইব্রাহিমের সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বোচ্চ সংগ্রহের রেকর্ড গড়েছে সফরকারীরা। সিরিজে টিকে থাকতে স্বাগতিকদের করতে হবে ৩৩২ রান।

রশিদকে বোকা বানালেন সাকিব

উইকেটে এসেই রান বাড়ানোয় মন দিয়েছিলেন রশিদ। নিজের খেলা প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে শুরুটা ভালোই করেছিলেন। কিন্তু তাকে খুব একটা পথ হাঁটতে দিলেন না সাকিব। ৪৭তম ওভারের চতুর্থ বলে রশিদকে এগিয়ে আসতে দেখে লেংথ কমিয়ে ফেলেছিলেন সাকিব। সে বলের আর নাগাল পাননি তিনি। বাকি কাজটুকু সেরেছেন মুশফিকুর রহিম।

সেঞ্চুরির পর ফিরলেন ইব্রাহিম 

৭৫ বলে ফিফটি করার পর এবার ১১৮ বলেই সেঞ্চুরি পেলেন ইব্রাহিম। ১৩তম ম্যাচে এসে চতুর্থ ওয়ানডে সেঞ্চুরি পেলেন এই ওপেনার। তবে এরপর আর বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না। সেঞ্চুরির ঠিক পরই ফিরলেন তিনি। মোস্তাফিজের করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলটি শর্ট লেন্থে ছিল, সেখানে পুল করতে গিয়ে মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে তার সংগ্রহ ১১৯ বলে ১০০ রান।

মিরাজের ২৫০

৪৪তম ওভারের প্রথম বলটি অফ স্টাম্পের সামান্য বাইরে পিচ করিয়ে গুড লেন্থ রেখেছিলেন মিরাজ। সেখানে গায়ের জোরে উড়িয়ে মারতে চান নাজিবউল্লাহ। কিন্তু টাইমিং কতে পারেননি। লং অনে সহজ ক্যাচ নেন লিটন কুমার দাস। তাতে বাংলাদেশের পঞ্চম বোলার, তৃতীয় স্পিনার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২৫০ উইকেট স্পর্শ করেন মিরাজ।পাঁচজনের মধ্যে সেরা ইকোনমি মিরাজেরই।

চোট পেয়ে মাঠ ছাড়লেন এবাদত

৪২তম ওভারের তৃতীয় বলটি করার সময় লাফ দিতে গিয়ে আম্পায়ার গাজী সোহেলের কাঁধে বাড়ি খায় এবাদতের হাত। তাতে ধাক্কা খেয়ে রানআপ থামাতে পারেননি ঠিকঠাক। ফলে পেছন ঘুরে পড়ে আঘাত পান পায়ে। ফিজিও এসে প্রথামিকভাবে দেখার পর উঠেও দাঁড়ান। কিন্তু এরপর মাঠ ছেড়ে যেতে হলো। যাওয়ার পথে খোঁড়াতে দেখা গেছে তাকে। তার বদলি হিসেবে ওভারের বাকি চার বল করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এই স্পিনার অবশ্য উইকেটের দেখাও পেয়ে যেতেন। কিন্তু নিজের বলে নিজেই ক্যাচ ফেলে শেষ পর্যন্ত আর তা পাওয়া হয়নি।

৩ ওভারে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচে ফিরল বাংলাদেশ

সাকিবের হাত ধরে ওপেনিং জুটি ভাঙার পর দ্বিতীয় উইকেট নিতে বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয়েছে মাত্র ৫ বল। ৩৮তম ওভারের প্রথম বলে রহমত শাহকে মুস্তাফিজের ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে পাঠিয়েছেন এবাদত হোসেন। পরের ওভারে বোলিংয়ে এসে 'উইকেট পার্টিতে' যোগ দিয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ৩৯তম ওভারের শেষ বলে এই ডানহাতি স্পিনারের ফ্লাইট মিস করে বোল্ড হয়েছেন হাশমতউল্লাহ শাহিদি। তাতে দেরিতে এসে হলেও আফগানদের লাগাম টেনে ধরতে পেরেছে বাংলাদেশ।

গুরবাজকে ফেরালেন সাকিব

সাকিবের করা ইনিংসের ৩৭তম ওভারের প্রথম বলটি মিডল স্টাম্পের ওপর ছিল। সেখানে টার্ন আর বাউন্সে পরাস্ত হয়েছেন গুরবাজ। তাতে বল আঘাত হানে তার প্যাডে আর সঙ্গে সঙ্গেই হাত তুলে সাকিবের আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। তবে আম্পায়ারের এমন সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট হতে পারেননি গুরবাজ, তাই রিভিউ নেন। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি। শেষ পর্যন্ত ১২৫ বলে ১৪৫ রানের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন এই ওপেনার। ১৩টি চারের সঙ্গে গুরবাজ মেরেছেন ৮টি ছক্কা। কোনো আফগান ওপেনারের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস এটি। গুরবাজের বিদায়ে আফগানিস্তানের রেকর্ড ২৫৬ রানের উদ্বোধনী জুটি ভেঙে উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ।

উদ্বোধনী জুটিতে ২০০ পেরিয়ে আফগানিস্তান

চট্টগ্রামের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে বাড়তি কিছু করতে পারছনে না সাকিব-মুস্তাফিজরা। আর তার শতভাগ কাজে লাগিয়েছেন আফগানিস্তানের দুই ওপেনার। ইতোমধ্যেই উদ্বোধনী জুটিতে ২০০ রান পেরিয়ে গেছে সফরকারীরা। বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটির তালিকায় এখন চার নম্বরে এটি।

গুরবাজ ও ইব্রাহিমের এই জুটি এখন ওয়ানডেতে যে কোনো জুটিতেই আফগানিস্তানের সেরা। আগের সর্বোচ্চ ছিল সেই ২০১০ সালে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় উইকেটে মোহাম্মদ শাহজাদ ও করিম সাদিকের অবিচ্ছিন্ন ২১৮।

বাংলাদেশের মাঠে স্বাগতিকদের বিপক্ষে যেকোনো দলের সবচেয়ে বড় জুটিও এটি। আগেরটি ছিল মিরপুরে মাহেলা জয়াবর্ধনে ও উপুল থারাঙ্গার ২১৫।

ইব্রাহিমের ফিফটি

গুরবাজ একও প্রান্তে ঝড় তুললেও অন্য প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাটিং করছেন ইব্রাহিম। তাইতো গুরবাজ সেঞ্চুরি ছোঁয়ার পর এসে হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেলেন তিনি। ২৯তম ওভারের শেষ বলে মুস্তাফিজকে একও রান নিয়ে ৭৫ বলে এই ব্যাক্তিগত মাইলফলকে পা রাখেন তিনি। 

 

গুরবাজের সেঞ্চুরি

২৮তম ওভারে বোলিংয়ে ছিলেন সাকিব। এই বাঁহাতি স্পিনারের প্রথম বলটি অফ স্টাম্পের বাইরে গুড লেন্থে ছিল, সেখানে সফট হ্যান্ডে খেলে প্রান্ত বদল করেন গুরবাজ। আর তাতে ১০০ বল খেলে স্পর্শ করেন তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ শতক। চার ওয়ানডে সেঞ্চুরির দুইটাই বাংলাদেশের বিপক্ষে এবং দুইটাই এই চট্টগ্রামে পেয়েছেন তিনি।

উদ্বোধনী জুটিতে আফগানিস্তানের রেকর্ড

২০১২ সালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে দুই ওপেনার করিম সাদিক ও জাভেদ আহমাদি মিলে তুলেছিলেন ১৪১ রান। যা এতদিন আফগানিস্তানের ওয়ানডে ইতিহাসে সেরা ওপেনিং জুটি ছিল। এবার সেটা ভেঙ্গে দিয়েছেন গুরবাজ ও ইব্রাহিম। দুই ওপেনার অবিচ্ছিন্ন থেকে ২১ ওভার ১ বলে স্কোরবোর্ডে যোগ করেছেন ১৪২ রান।

শতরানের জুটি

ওয়ানডেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো উদ্বোধনী জুটিতে শত রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছে আফগানিস্তান। এর আগে গত বছর এই মাঠেই রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও রিয়াজ হাসান ৭৯ রানের জুটি গড়েছিলেন। সেই রেকর্ড এবার ভেঙ্গে দিয়েছেন দুই ওপেনার গুরবাজ ও ইব্রাহিম। ১৪.২ ওভারে অবিচ্ছিন্ন থেকে স্কোরবোর্ডে যোগ করেছেন ১০০ রান।

 

গুরবাজের হাফ সেঞ্চুরি 

ইনিংসের ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে সাকিবকে বাউন্ডারি হাঁকিয়েছিলেন গুরবাজ। আক্রমণাত্মক খেলা এই ওপেনারকে প্রলুব্ধ করতে পরের বলটি ফ্লাইট দেন সাকিব। সেই ফাঁদে এই ওপেনার পা দিয়েছেন ঠিকই তবে দেখে-শুনে খেলেছেন। বলের লেন্থ বুঝে পেছনের পায়ে ভর দিয়ে মিড উইকেটের ওপর দিয়ে সীমানা ছাড়া করেন গুরবাজ। আর তাতে মাত্র ৪৮ বলে ব্যাক্তিগত অর্ধশতক স্পর্শ করেন তিনি।

মুস্তাফিজদের ওপর চড়াও আফগানিস্তান

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে আক্রমণাত্মক শুরু করেছে আফগানিস্তান। মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ ও এবাদত হোসেনের বলে তারা সজোরে ব্যাট চালাচ্ছেন দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহীম জাদরান। তার ওপর বাড়তি হিসেবে তারা তিনটি ‘নো’ বল পেয়েছেন।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৯ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়েই ৬২ রান নিয়েছে সফরকারীরা। গুরবাজ ৩১ এবং ইব্রাহীম অপরাজিত আছেন ১৯ রানে।

তবে হাসান মাহমুদ রান দেওয়ায় কিছুটা কম খরুচে। এখন পর্যন্ত ২ ওভারে ৭ রান দিয়েছেন তিনি। মুস্তাফিজের ৪ ওভারে ২৫ এবং এবাদতের ২ ওভারে ১৩ রান নিয়েছেন আফগান ওপেনাররা। পরে অবশ্য সাকিবের দ্বিতীয় ওভারেও গুরবাজরা হাত খুলে মারার আভাস দিয়েছেন। ৩ ওভারে সাকিব দিয়েছেন ১৫ রান।

বাংলাদেশ একাদশ : লিটন দাস (অধিনায়ক), মোহাম্মদ নাঈম, নাজমুল হোসেন, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, তাওহিদ হৃদয়, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, হাসান মাহমুদ, মোস্তাফিজুর রহমান ও এবাদত হোসেন।

আফগানিস্তান একাদশ : রহমানউল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, রহমত শাহ, হাশমতউল্লাহ শহীদি (অধিনায়ক), নাজিবুল্লা জাদরান, মোহাম্মদ নবি, রশিদ খান, মুজিব উর রহমান, ফজলহক ফারুকি, আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও সেলিম সাফি।

টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে দুই পরিবর্তন

ম্যাচে টস জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন টাইগার অধিনায়ক লিটন।

বাংলাদেশের একাদশে দুটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিশ্রামে থাকা তামিম ইকবালের জায়গায় এসেছেন নাঈম শেখ এবং পেসার তাসকিন আহমেদের পরিবর্তে নেওয়া হয়েছে এবাদত হোসেনকে।