ছবি: সংগৃহীত

প্রথম ওয়ানডেতে বাজে ব্যাটিংয়ে শেষ পর্যন্ত হেরেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও একই চিত্র স্বাগতিক ব্যাটিং লাইনআপের। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রীতিমতো চোখে সর্ষে ফুল দেখছেন সাকিব-লিটনরা। ৭২ রান তুলতেই সাজঘরে ফিরেছেন টপ অর্ডারের ৬ ব্যাটার।

বড় লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা একেবারেই ভালো করতে পারল না বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার দিন প্রথম ওভারটি মেডেন দিয়েছেন মোহাম্মদ নাঈম। তামিমের বদলে স্কোয়াডে ফেরা এই তরুণ ওপেনার ফারুকির পেস আর সুইং সামাল দিতে হিম-শিম খেয়েছেন। আরেক ওপেনার লিটন অবশ্য আক্রমণাত্মক শুরু করেছিলেন। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে মুজিবুর রহমানকে টানা দুই চার মেরে ভালো শুরুর আভাস দেন। কিন্তু পরের বলেই লেগবিফোরের ফাঁদে পড়েন। তবে রিভিউ নিয়ে সেই যাত্রায় বেঁচে যান তিনি। জীবন পেয়েও বেশি দূর এগোতে পারেননি।

ফারুকির করা পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে তুলে মারতে গিয়েছিলেন লিটন, তবে টাইমিং করতে পারেননি মোটেও। শর্ট মিডউইকেটে মোহাম্মদ নবির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। 

তিনে নেমে দলের হাল ধরতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে করা মুজিবের বলটা টার্ন করে বেরিয়ে যাচ্ছিল। লাইন পুরোই মিস করে গেছেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার। তাতেই তার স্টাম্প উপড়ে গেছে।

এই দুইজনকেই অনুসরণ করলেন নাঈমও। ৯ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। ফারুকিকে মারতে গিয়ে উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে কাটের মতো কিছু করতে গিয়ে স্টাম্পে বল ডেকে এনেছেন দুই বছর পর ওয়ানডে খেলতে নামা বাঁহাতি এই ওপেনার। বড় লক্ষ্য তাড়ায় নবম ওভারে বাংলাদেশ হারিয়ে ফেলেছে ৩ উইকেট, সেটিও মাত্র ২৫ রান তুলতেই।

শুরুর ধাক্কা সামলে ওঠার চেষ্টা করছিলেন সাকিব-হৃদয়। তবে ১৬ রানের এবশি করতে পারেননি হৃদয়। এরপর সাকিবও আর বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না। উইকেটে থিতু হয়েও ২৯ বলে ২৫ রান করে আউট হন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। এরপর উইকেটে এসে গোল্ডেন ডাক খেয়েছেন আফিফ হোসেন। তার বিদায়ে ৭২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে বাংলাদেশ।  

এইচজেএস