বাংলাদেশের অনেক সাবেক ক্রীড়াবিদই এখন প্রবাস জীবনযাপন করছেন। তবে প্রবাসে জীবনের ব্যস্ততার তাগিদে খেলাধুলার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত থেকেছেন খুব কমই। যদিও এক্ষেত্রে একেবারে ব্যতিক্রম একসময়ের ঘরোয়া ক্রিকেটের চেনামুখ মাহবুবুর রহমান সেলিম। 

বেশ কয়েক বছর ধরেই সেলিম অস্ট্রেলিয়ার পার্থে অবস্থান করছেন। সেখানে ক্রিকেট কোচিংয়ের পাশাপাশি নিজেই গড়ে তুলেছেন একাডেমি। নিজের সেই ‘পার্থ ক্রিকেট মেনটরিং একাডেমি’র আয়োজনে গত বছর থেকে শুরু করেছেন উইন্টার ক্রিকেট। অস্ট্রেলিয়ায় ক্রিকেট বেশ জনপ্রিয় খেলা হলেও শীত মৌসুমে খেলা হয় না। বাংলাদেশের সাবেক এই ক্রিকেটার শীতেও পার্থে ক্রিকেটের প্রচলন করছেন। 

গত বছর থেকে সেলিম অনূর্ধ্ব-১১ থেকে ১৫ পর্যন্ত একাডেমি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট চালু করেন৷ শীতকালে প্রতি সপ্তাহের রোববার অনুর্ধ্ব বয়স ভিত্তিক টুর্নামেন্ট হয়। প্রায় ৪০০ বালক এই টুর্নামেন্টে অংশ নেয়। এই বছর ইতোমধ্যে দুটি বয়স ভিত্তিক টুর্নামেন্ট শেষ হয়েছে। 

টুর্নামেন্টের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পারায় পার্থ থেকে বেশ সন্তুষ্টি ঝরল বাংলাদেশ দলের সাবেক ক্রিকেটারের কন্ঠে , ‘আমার এই টুর্নামেন্টে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। অস্ট্রেলিয়ান ও প্রবাসী বালকরা এটি উপভোগ করছে। ফলে তারা ক্রিকেট থেকে দুরে সরে যাচ্ছে না। পার্থের পাশাপাশি অন্য রাজ্যগুলোও শীতে এমন আয়োজনের পরিকল্পনা করছি।'

ব্যক্তিগত জীবনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর শেষ করেছিলেন সেলিম। সেলিমের স্ত্রী পার্থের একটি শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন৷ অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশে ক্রিকেট নিয়ে কাজ করতে পারার পেছনে শিক্ষাকেও বড় গুরুত্ব দিলেন সেলিম, ‘আসলে এখানে শুধু ট্যাকনিক্যাল জ্ঞান দিয়ে সব কাজ সম্ভব নয়। অ্যাকাডেমিক জ্ঞানও প্রয়োজন। এই দুটোর সমন্বয়ে আমি অস্ট্রেলিয়ায় পথ চলছি।’

নব্বইয়ের দশকে আলোচিত ব্যাটসম্যান ছিলেন সেলিম। জাতীয় দলে ক্যারিয়ার তেমন দীর্ঘ না হলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশ দাপটের সঙ্গেই খেলেছেন। এরপর অস্ট্রেলিয়াতেই কোচিংয়ে থিতু হয়েছেন। মাঝে ঢাকা লিগেও এক মৌসুম কোচিং করিয়েছিলেন।  

এজেড/জেএ