ক্রিকেট বিশ্বে শক্তিশালী এক নাম পাকিস্তান। ১৯৫২ সাল থেকেই ক্রিকেট জগতে নিজেদের নাম জড়িয়ে রেখেছে এশিয়ান দেশটি। আছে বিশ্বকাপ জয়ের রেকর্ডও। জিতেছে টি-টোয়েন্টি এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপাও। তবে এত কীর্তির সবই দেশটির পুরুষ দলের। নারীদের ক্রিকেটে এখনও নিজেদের শক্ত অবস্থানে নিতে পারেনি দেশটির ক্রিকেট বোর্ড পিসিবি। 

এমনকি নারী ক্রিকেটারদের সঙ্গে কোনপ্রকার ঘরোয়া ক্রিকেটের চুক্তিও করেনি পাকিস্তান। তবে দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে সেই অচলাবস্থা কাটাতে উদ্যোগ নিয়েছে পিসিবি। বুধবার (১৬ আগস্ট) প্রথমবারের মত দেশের নারী ক্রিকেটারদের সঙ্গে ঘরোয়া চুক্তি করেছে তারা। 

আরও পড়ুন: তাহলে কবে বিয়ে করছেন বাবর?

দেশের ইতিহাসে প্রথম এই ঘরোয়া ক্রিকেট চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন পাকিস্তানের ৭৪ জন নারী ক্রিকেটার। এদের মাঝে ৫৯ জনই দেশটির ইমার্জিং বা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সদস্য। যদিও ঘরোয়া এই চুক্তির পর নতুন আরেক শর্তও দেওয়া হয়েছে ক্রিকেটারদের। এবারের চুক্তিতে থাকা ৭৪ জনের কেউই ২০২৩-২৪ সালে ক্রিকেট বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে জায়গা পাবেন না।  

জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন এমন ১৪ ক্রিকেটারকে এবারের ঘরোয়া ক্রিকেটের চুক্তিতে ডেকেছে পিসিবি। অভিজ্ঞ জাভেরিয়া খান, কায়নাত ইমতিয়াজ, আনাম আমিন, আইমান আনোয়ারদের মত ক্রিকেটাররা আছেন এই চুক্তিতে। এছাড়া ইরাম জাভেদ, আয়েশা জাফর, সাবা নাজির, মাহাম তারিকদেরও রাখা হয়েছে এই তালিকায়। এদের কেউই আসন্ন কেন্দ্রীয় চুক্তিতে জায়গা পাচ্ছেন না। 

নারী ক্রিকেটারদের এই বাছাই প্রক্রিয়ায় ছিলেন সাবেক টেস্ট ক্রিকেটার সেলিম জাফর। সেইসঙ্গে ছিলেন দেশটির জাতীয় এবং অ্যাকাডেমিক ক্রিকেটাররাও। চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটাররা মাসিক বেতন ছাড়াও পাবেন ম্যাচ ফি, দৈনিক ভাতা এবং প্রাইজ মানি।    

চুক্তির ঘোষণা দিয়ে পিসিবি চেয়ারম্যান জাকা আশরাফ বলেন, ‘যে ৭৪ জন নারী ক্রিকেটার নিজেদের মেধা এবং পরিশ্রমের মাধ্যমে এই চুক্তি পেয়েছেন আমি তাদের অন্তর থেকে অভিনন্দন জানাই। আজ পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এক দিন, যেখানে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড দেশের নারী ক্রিকেটের জন্য ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নিয়েছে।’   

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, এসব খেলোয়াড়দের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে আমরা কেবল নারী ক্রিকেটের মান উন্নয়ন করিনি, একইসঙ্গে নতুন প্রজন্মের মেয়েদেরও খেলার প্রতি উদ্বুদ্ধ করছি।’ 

জেএ