বোলিংয়ে রান-আপের সময় ‘পা পিছলে যাচ্ছিল’ তাসকিনের
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ দল। জনি বেয়ারস্টো, ডেভিড মালান থেকে শুরু করে জো রুট পর্যন্ত প্রত্যেকেই সমানে পিটিয়েছেন টাইগার বোলারদের। কোনো বোলারকেই এদিন পরোয়া করেননি ইংলিশ ব্যাটাররা। ম্যাচ শেষে টাইগার পেসার তাসকিন আহমেদ জানালেন, বোলিংয়ে রান-আপের সময় সমস্যা হয়েছিল।
গত দু’দিন ধরে ধর্মশালার আউটফিল্ড নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি। কেননা এই মাঠে ফিল্ডারদের ফিল্ডিং করা অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। ফিল্ডিংয়ে ডাইভ দেওয়ার সময় যে কেউ ইনজুরিতে পড়তে পারেন। ধর্মশালার মাঠ নিয়ে তাসকিন বলছিলেন, ‘রান-আপের জায়গায় আমাদের সবারই মনে হচ্ছিল একটু অফ ব্যালেন্স হয়ে যাচ্ছি, পা পিছলে যাচ্ছিল। তবুও উচিত ছিল আরও ভালো করা। অজুহাত দিয়ে লাভ নেই।’
বিজ্ঞাপন
ধর্মশালার থেকেও খারাপ অবস্থায় অতীতে বাংলাদেশ দল ভালো করেছে। যে কারণে কোনো ধরনের অজুহাত দিতে নারাজ তাসকিন, ‘আসলে এক্সিকিউশন করতে পারিনি। পরিকল্পনা অনুযায়ী একটু খারাপ দিন গেছে। সবাই সবার সেরাটা দিতে পারিনি। কোনো কিছুর অজুহাত দিয়ে লাভ নেই। এর চেয়েও বাজে কন্ডিশনে ভালো করেছি আমরা। পরিকল্পনা অনুযায়ী বোলিং করতে পারিনি।’
ধর্মশালায় এটি ছিল তাসকিনের দ্বিতীয় ম্যাচ। এদিকে রিচ টপলি-মার্ক উডরা খেলেছেন নিজেদের প্রথম ম্যাচ। এমন অবস্থায় বাংলাদেশ কেন ভালো করতে পারলো না—এমন প্রশ্নে তাসকিনের উত্তর, ‘বললাম তো অজুহাত দিয়ে লাভ নেই। আমরা ভালো বোলিং করতে পারিনি। বিশ্বকাপের সব ম্যাচ কঠিন আমাদের জন্য। সব ম্যাচই কঠিন, সহজ হবে না। একেক কন্ডিশনে একেক রকমভাবে মানিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।’
বিজ্ঞাপন
এদিন বোলিংয়ের সময় কিছুটা অস্বস্তিতে থাকতে দেখা যায় তাসকিনকে। সে কারণে তাকে মাত্র ৬ ওভার বল করতে দেখা যায়। ৩৮ রান খরচায় ইংলিশদের এক উইকেট নেন তাসকিন। বাংলাদেশের হয়ে এদিন সর্বোচ্চ চার উইকেট পেয়েছেন স্পিন অলরাউন্ডার শেখ মেহেদী। তবে ৮ ওভারে তিনি বেশ খরুচে (৭১ রান) ছিলেন। এছাড়া ১০ ওভারে ৭৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন শরীফুল ইসলাম।
এসএইচ/এএইচএস