আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আফগানিস্তান এখন সমীহ জাগানো এক দল। অন্তত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দেশটির বেশ কিছু ক্রিকেটার নিয়মিত আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত বড় রকমের কোন জয় না পেলেও নিজ দেশে ব্যাপক জনপ্রিয় আফগান ক্রিকেটাররা। রশিদ খান, মোহাম্মদ নবীরা তাদের দেশে নায়কের মতোই।

তবে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে খেলা না হওয়ায় নিজেদের সমর্থকদের সামনে খেলার সুযোগ নেই আফগান ক্রিকেটারদের। কখনো দুবাই, কখনোবা ভারতের মাটিতে খেলতে হয়েছে তাদের। স্টেডিয়ামে তাই আফগান সমর্থকদের আনাগোণাও খুব একটা নেই। এরপরেও বিশ্বকাপে নজর কেড়েছেন আফগান সমর্থকরা। আর তাতেও মুখ্য অবদান সেই ক্রিকেটারদেরই। 

আফগানিস্তানের খুব অল্প কিছু সমর্থকই নিজ দলকে সমর্থন দিতে বিদেশ সফর করে থাকেন। আর তাদের সম্মান জানাতে টিকেটের ব্যবস্থা করে থাকেন ক্রিকেটাররাই। আফগান ক্রিকেট বোর্ডের এক কর্মকর্তা ভারতীয় গণমাধ্যমকে নিজেই জানিয়েছেন এই খবর। 

দলটির একজন কর্মকর্তা দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, ‘এই চিন্তাটি (সমর্থকদের টিকিট দেওয়া) কিছুদিন আগে তৈরি হয়েছিল। আমরা দুবাইতে আমাদের ভক্তদের টিকিট দিয়েছি। এছাড়া আফগানিস্তান যখন ২০২৩ সালের পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার যৌথ আয়োজনে এশিয়া কাপ খেলতে গিয়েছিল তখনও এমন কাজ হয়েছিল। এমনকি বিশ্বকাপেও এই কাজ অব্যাহত রয়েছে।’

দলের সেই কর্মকর্তা জানান, ‘খেলোয়াড়রা আমাকে টিকিটের জন্য অনুরোধ করে। আমরা সাধারণত প্রতি খেলোয়াড় বা অফিসিয়ালদের জন্য তিন থেকে পাঁচটি করে টিকিট পাই। একবার আমি তাদের কোটা দিয়ে দিলে, খেলোয়াড়রা তাদের টিকিট সমর্থকদের জন্য একত্র করে রাখে।

‘ভক্তদের কাছ থেকে (টিকেটের) অনুরোধ পেলে আমরা এই টিকিটগুলো (খামে) রেখে দেই। সেই খাম আমরা টিম হোটেলের রিসেপশনে রেখে দেই। এরপর ভক্তরা সেখান থেকে (টিকেট) সংগ্রহ করে নেয়।’

মূলত প্রতিটি দলের ক্রিকেটার ও কর্মকর্তাদের জন্য কিছু টিকেট রাখা হয় আয়োজকদের পক্ষ থেকে। সেটা নিজেদের কাছের মানুষদেরই দেওয়ার রীতি। তবে সেটা নিজেদের কারো জন্য বরাদ্দ রাখেননা রশিদ-নবীরা। ভক্তদের কাছেই চলে যায় এই টিকিট। 

জেএ