দুই বছরের জন্য নিয়োগ, নয় মাসেই বিদায় বিদেশি রেফারি পরামর্শকের
চলতি মাসের শেষ সপ্তাহ থেকেই শুরু হবে ঘরোয়া ফুটবলের মৌসুম। বিতর্কমুক্ত রেফারিং এবং বাংলাদেশের রেফারিদের মান উন্নয়নের জন্য বাফুফে রেফারিং কনসালটেন্ট হিসেবে ভারতীয় গৌতম করকে দুই বছরের জন্য নিয়োগ দিয়েছিল। নয় মাসের মাথায় বাফুফে থেকে বিদায় নিয়েছেন গৌতম।
সপ্তাহ খানেক বাফুফে সাধারণ সম্পাদক বরাবর এক চিঠি দেন। সেই চিঠিতে ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করে দায়িত্ব পালনে অস্বীকৃতি জানান গৌতম। ভারতীয় এই রেফারিং বিশেষজ্ঞের পেছনে বাফুফের মাসে প্রায় চার লাখ টাকার ওপরে ব্যয় ছিল। নয় মাসে প্রায় অর্ধ কোটি ব্যয় করে বাংলাদেশের রেফারিংয়ে কি পরিবর্তন বা উন্নতি হয়েছে এটি বড় প্রশ্ন ফুটবলাঙ্গনে।
বিজ্ঞাপন
গৌতম কর বাংলাদেশে আসার পর দেশের অনেক রেফারিই তাকে বেশ স্বাগত জানিয়েছিলেন। সময় যত যেতে থাকে বাংলাদেশের সাবেক রেফারিদের সঙ্গে তার দূরত্ব বাড়তে থাকে। গৌতম অধিকাংশ কাজ নিজের সিদ্ধান্তেই করার চেষ্টা করতেন যাতে দ্বিমত থাকত অনেকের। আবার বাংলাদেশের অনেক রেফারির স্বার্থহানি হওয়ায় গৌতমের বিরোধিতাও হয়েছে। তাই গত কয়েক মাস ধরেই গৌতমের সমালোচনায় মুখর ছিলেন অনেকেই। সব কিছু বিচার বিবেচনা করে ভারতীয় রেফারি বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিয়েছেন।
দেশের শীর্ষ রেফারিরা ম্যাচ পরিচালনা করে নিয়মিতভাবে অর্থ পান না। এখনো অনেক টাকা বকেয়া। রেফারিদের টাকা বকেয়া থাকলেও গৌতমকে নিয়মিত বেতন-ভাতা দিয়েছে ফেডারেশন। সেই গৌতমের পেছনে অর্ধ কোটি টাকা ব্যয়ের পর আকস্মিক চলে যাওয়ায় প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে রেফারিই,‘আমরা সম্মানী পাই না অথচ হঠাৎ বিদেশি রেফারি বিশেষজ্ঞ আনা হলো বড় অঙ্ক ব্যয়ে। তার পেছনে এত বিনিয়োগ করার পর আবার হঠাৎ চলে গেল এতে বাংলাদেশের রেফারি ও ফুটবলের কি লাভ হলো বোধগম্য নয়’-নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হয়ে একাধিক রেফারি বলেন।
বিজ্ঞাপন
বাফুফে সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার গৌতম করের চলে যাওয়ায় কোনো বিচ্যুতি দেখছেন না,‘সে চুক্তিভঙ্গ করে যায়নি। চুক্তিতে এমনটাই ছিল দুই পক্ষই যে কোনো সময় চুক্তি বাতিল করতে পারবে। মৌখিকভাবে সে এক মাস আগেই জানিয়েছিল তার সিদ্ধান্তের বিষয়টি। এরপর সে আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়েছে।’
এজেড/