৪০ বলে প্রথম ফিফটি করেছিলেন হেনরিখ ক্লাসেন। আধুনিক ওয়ানডেতে এটাকে খুব বেশি আক্রমণাত্মক বলার সুযোগ নেই! তবে পরের ৫০ রান করতে তিনি খরচ করেছেন মাত্র ২১ বল। সবমিলিয়ে ৬১ বলে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন এই উইকেটকিপার ব্যাটার। তার ঝড়ো ব্যাটিংয়ের সামনে রীতিমতো চোখে সর্ষে ফুল দেখেছেন মার্ক উড-রেইস টপলিরা।

শনিবার (২১ অক্টোবর) ওয়াংখেড়েতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩৯৯ রান তুলে দক্ষিণ আফ্রিকা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১০৯ রান এসেছে ক্লাসেনের ব্যাট থেকে।

ইনিংসের প্রথম বলে চার মেরে শুরু করেছিলেন কুইন্টন ডি কক। কিন্তু পরের বলেই এই ওপেনারকে ফিরিয়েছেন টপলি। উইকেটের পেছনে বাটলারের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৪ রান।

ডি কক দ্রুত ফিরলেও দলকে ভালো শুরু এনে দেন রেজা হেনড্রিকস ও রাসি ফন ডার ডুসেন। এই দুজনই হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। চারে নেমে এইডেন মার্করামও থিতু হয়ে ফিফটির পথে হাঁটছিলেন। তবে মাইলফলক ছোঁয়ার আগেই ফিরেছেন তিনি। ৪৪ বলে করেছেন ৪২ রান।

টপ অর্ডার ব্যাটাররা রান পাওয়ায় মিডল অর্ডার ব্যাটাররা স্ট্রাইকরেটে মনযোগী হন। সেই পথে হেঁটে সফল হয়েছেন ক্লাসেন ও মার্কো জানসেন। ক্লাসেন ৬৭ বলে করেছেন ১০৯ রান। তার স্ট্রাইকরেট ছিল প্রায় ১৬২। জানসেন তার চেয়েও আক্রমণাত্মক ছিলেন। ৪২ বলে করেছেন অপরাজিত ৭৫ রান। যেখানে তিনি ব্যাটিং করেছেন পেয়ায় ১৭৯ স্ট্রাইকরেটে। 

এইচজেএস