বিশ্বকাপে রানের বন্যা হবে এমন আভাস আগেই দিয়ে রেখেছিল ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। বেশকিছু ম্যাচে তেমন রানবন্যাও দেখা গিয়েছে। আবার কিছু ম্যাচে রান উঠেছে কচ্ছপের গতিতে। অতিমাত্রায় স্লো-পিচের কারণে নষ্ট হয়েছে স্বাভাবিক ক্রিকেটীয় সৌন্দর্য্য। বিশেষ করে স্বাগতিক ভারতের ম্যাচগুলোতে তাদেরই মনমতো পিচ তৈরির অভিযোগ এসেছে। 

বিশ্বকাপে বোলিংবান্ধব উইকেট হিসেবে খ্যাতি আছে চেন্নাইয়ের এম চিদাম্বারাম স্টেডিয়াম এবং ধর্মশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামের। এই ধর্মশালাতেই রবিবারের একমাত্র ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হয়েছে শিরোপাপ্রত্যাশী নিউজিল্যান্ড। বোলিং পিচে রান তুলতে হিমশিম খেতে হয়েছে কিউই বোলারদের।  পাওয়ারপ্লে শেষে তারা করেছে মোটে ৩৪ রান।  

এমন লো-স্কোরের সুবাদে এবারের বিশ্বকাপে পাওয়ারপ্লেতে সর্বনিম্ন রানের তালিকাতেও ঢুকে পড়েছে ব্ল্যাকক্যাপসরা। রানউৎসবের এই আসরে প্রথম দশ ওভারে চতুর্থ সর্বনিম্ন রান এখন তাদের। এর আগে ভারতের বিপক্ষেই অস্ট্রেলিয়া নিজেদের প্রথম ম্যাচে করেছিল ২৭ রান। চেন্নাইয়ের পিচে করা সেই স্কোর এবারের বিশ্বকাপে পাওয়ারপ্লেতে সর্বনিম্ন রান। 

এছাড়া কিউইদের বিপক্ষে চেন্নাইতে আফগানিস্তান নিজেদের প্রথম দশ ওভারে তুলেছিল ২৮ রান। সেটি আছে তালিকার দুইয়ে। তৃতীয় স্থানে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং নেদারল্যান্ডস ম্যাচটি। যেখানে ডাচরা নিজেদের পাওয়াপ্লেতে করেছিল মাত্র ৩২ রান। যদিও বৃষ্টিবিঘ্নিত সেই ম্যাচে পাওয়ারপ্লে শেষ হয়েছিল ৯ ওভারে।  

অবশ্য বিশ্বকাপের ইতিহাসে পাওয়ারপ্লেতে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড পাকিস্তানের। ২০১৫ বিশ্বকাপে ব্রিসবেনে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১০ ওভারে মাত্র ১৪ রান করেছিল পাকিস্তান। শীর্ষ পাঁচে কানাডার নাম আছে দুইবার। 

এদিকে ধর্মশালার ম্যাচে শুরুর সেই ধাক্কা ধীরে ধীরে সামাল দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। রাচিন রবীন্দ্র এবং ড্যারেল মিচেলের ৫০ পেরুনো জুটির সুবাদে ম্যাচে ফিরতে শুরু করেছে কিউইরা। এই প্রতিবেদন লেখার সময় তাদের সংগ্রহ ২২ ওভার শেষে তাদের স্কোর ২ উইকেটে ১০৭ রান।  

জেএ