বিষেণ সিং বেদীর শেষকৃত্যে কান্নায় ভেঙে পড়লেন কপিল দেব
বিশ্বকাপের মাঝেই চিরঘুমে বিষেণ সিং বেদী। মঙ্গলবার চোখের জলে তাকে চিরবিদায় জানালেন কপিল দেব। এদিন তার শেষকৃত্যে অংশ হয়ে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি সাবেক ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক।
গত সোমবার শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ‘সর্দার অব স্পিন’খ্যাত বিষেণ সিং বেদী। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। কিংবদন্তিকে শেষবিদায় জানাতে মঙ্গলবার হাজির হয়েছিলেন সাবেক ক্রিকেটার বীরেন্দ্র শেহওয়াগ, আশিষ নেহেরা, অজয় জাদেজা, মুরালি কার্তিক, কীর্তি আজাদ, মদন লালরা। এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন কপিল দেব। উপস্থিত ছিলেন মনসুর আলি খানি পতৌদির স্ত্রী তথা অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুরও। বেদীপুত্র অঙ্গদের প্রতি সহানুভূতি জানান তিনি। চোখের জল বাধ মানেনি অঙ্গদের স্ত্রী নেহা ধুপিয়ারও।
বিজ্ঞাপন
১৯৬৭ সাল থেকে ১৯৭৯ সালের মধ্যে ভারতের হয়ে ৬৭টি টেস্ট ম্যাচ খেলে ২৬৬টি উইকেট নিয়েছিলেন বিষেণ সিং বেদী। ১০টি ওয়ানডে ম্যাচে সাতটি উইকেট নেওয়ারও কৃতিত্ব রয়েছে তার দখলে। ভারতের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ জয়ে বিষেণ সিং বেদীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
বিজ্ঞাপন
ভারতের স্পিন আক্রমণের উত্থানে বড় ভূমিকা ছিল বেদীর। এরাপল্লি প্রসন্ন ও বি চন্দ্রশেখরের সঙ্গে মিলে এক শক্তিশালী স্পিন বিভাগ তৈরি করেছিলেন বেদী। সত্তর ও আশির দশকে এই ত্রয়ী ভারতীয় দলের সব থেকে বড় অস্ত্র ছিল। ভারতের প্রথম এক দিনের ম্যাচ জয়ে নায়ক হয়েছিলেন বেদী। ১৯৭৫ সালের বিশ্বকাপে পূর্ব আফ্রিকার বিরুদ্ধে ১২ ওভারে আটটি মেডেন-সহ মাত্র ৬ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। তার দাপটেই পূর্ব আফ্রিকাকে ১২০ রানে আটকাতে পেরেছিল ভারত।
১৯৪৬ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর পাঞ্জাবের অমৃতসরে জন্ম হয় বেদীর। মাত্র ১৫ বছর বয়সে নর্দার্ন পঞ্জাবের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা শুরু করেন তিনি। ১৯৬৮-৬৯ মৌসুমে তিনি যোগ দেন দিল্লিতে। সেখানেই শেষ পর্যন্ত খেলেন। ১৯৭৮-৭৯ ও ১৯৭৯-৮০ মৌসুমে দিল্লির অধিনায়কত্বও করেন তিনি। তার নেতৃত্বে রঞ্জি ট্রফিতে দু’বার রানার্স আপ হয় দিল্লি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৩৭০টি ম্যাচে ১৫৬০টি উইকেট নিয়েছেন বেদী।
ইংল্যান্ডের পরিবেশেও যথেষ্ট সফল হয়েছিলেন বেদী। তার কাউন্টি ক্যারিয়ার সেই কথাই বলে। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৭ সালের মধ্যে নর্থহ্যাম্পটনশায়ারের হয়ে ১০২টি ম্যাচে ৪৩৪টি উইকেট নিয়েছিলেন এই বাঁ হাতি স্পিনার।
বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন তিনি। ২০২১ সালের দিকে তার হৃদযন্ত্রে বাইপাস অস্ত্রোপচার হয়েছিল। এরপর থেকে বাড়িতেই থাকতেন তিনি।
জেডএস