আগে থেকেই জাতীয় দলের জায়গাটা নড়বড়ে হয়ে আছে শোয়েব মালিকের। আন্তর্জাতিক ম্যাচে সুযোগ না পেলেও তিনি নিয়মিত টি-টোয়েন্টির বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি আসরে খেলে যাচ্ছেন। বয়স ৪২ ছুঁঁইছুঁই করলেও ধরে রেখেছেন নিজের ফিটনেসও। একইসঙ্গে ফর্ম ধরে রেখে পাকিস্তানের হয়ে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিততে চান শোয়েব মালিক।

২০২১ সালে তিনি সর্বশেষ জাতীয় দলের হয়ে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে খেলেছিলেন। তখন পাকিস্তান সংক্ষিপ্ত সংস্করণে তিন ম্যাচের সিরিজে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশের। এরপর শোয়েব মালিককে আর জাতীয় দলে দেখা যায়নি। গত বছরও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাকে ছাড়াই খেলে পাকিস্তান। যেখানে বাবর আজমরা ওই আসরের ফাইনালে খেলেন, যদিও তাদের সন্তুষ্ট থাকতে হয় রানার্স-আপ হয়ে।

সম্প্রতি পাকিস্তানের স্থানীয় গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জাতীয় দলে ফেরার ইচ্ছা জানিয়ে মালিক বলেন, ‘আমি পাকিস্তানের হয়ে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিততে চাই। আমার শারীরিক ফিটনেস নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। আমি যখন কমবয়সী ছিলাম, তখনকার মতোই ফিট আছি এখনও। পিসিবি যখনই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করবে, আমি পাকিস্তানের হয়ে খেলার জন্য প্রস্তুত থাকব।’

সাম্প্রতিক সময়ে ক্রিড়াভিত্তিক বিভিন্ন টকশোতে দেখা মিলছে শোয়েব মালিকের

এর আগে দেশের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে খেলার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন শোয়েব মালিক। তিনি আন্তর্জাতিক টেস্ট এবং ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। আন্তর্জাতিক মঞ্চে নামার জন্য তার সামনে কেবল সুযোগ ২০ ওভারের ফরম্যাট। কিছুদিন আগে লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে খেলতে গিয়ে অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার বলেছিলেন, ‘আমি টেস্ট এবং ওয়ানডে থেকে অবসর নিয়েছি। খেলা ছাড়ার সময়ও আমার ব্যাটে রান ছিল। আমি এখনও পাকিস্তানের হয়ে টি-টোয়েন্টি খেলতে চাই। তবে আমি আশা করি না যে অধিনায়ক বা বোর্ডের কেউ আমাকে খেলতে ডাকবে। আমার কোনো আশাও নেই এখন। তবে আমি ততদিন খেলে যাব, যতদিন আমার ইচ্ছা করবে।’

টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের ইতিহাসে সব মিলিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান মালিকের দখলে। ৫১৫ ম্যাচে ৩৬.২৫ গড়ে ১২৬৮৮ রান করেছেন তিনি। তার স্ট্রাইক রেট ১২৭.৬৮। কোনো সেঞ্চুরি এখনও না পেলেও মালিক ৭৯টি হাফসেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। এছাড়া পাকিস্তানের জার্সিতে ১২৪ টি-টোয়েন্টিতে ৩১.২১ গড়ে ও ১২৫.৬৪ স্ট্রাইক রেটে তার সংগ্রহ ১৯৩৮ রান।

বাবরের নেতৃত্বে বর্তমানে পাকিস্তান দল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলছে। সেখানে খুব একটা সুবিধাজনক অবস্থানে নেই তারা। ৭ ম্যাচের মধ্যে মাত্র ৩টিতে জয় পাওয়ায় তাদের সেমিফাইনালে খেলা নির্ভর করছে ‘যদি-কিন্তু’র ওপর। বাকি দুই ম্যাচে জয়ের পাশাপাশি আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দলগুলোর দিকে পাকিস্তানকে তাকিয়ে থাকতে হবে।

এএইচএস