নিউজিল্যান্ডের স্পিন বিষে মাত্র ১৭২ রানেই অলআউট হয়ে গেছে বাংলাদেশ। অল্প পুঁজি নিয়ে মিরপুরের বধ্যভূমিতে চেনা অস্ত্র সেই স্পিনেই পাল্টা আক্রমণ স্বাগতিকদের। প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তার দেখানো পথে হাঁটলেন সিলেট টেস্টের নায়ক তাইজুল ইসলাম।

দলীয় ২০ রানে প্রথম উইকেট পতনের পর স্কোরবোর্ডে আরও ২ রান যোগ করতেই দুই ওপেনারকে হারিয়েছে সফরকারীরা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাদের সংগ্রহ ২ উইকেট হারিয়ে ২২ রান।

ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে মিরাজের হাত ধরে প্রথম সাফল্য পায় বাংলাদেশ। টাইগার এই অলরাউন্ডারের অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি ঠিক বুঝতে পারেননি ডেভন কনওয়ে। ছেড়ে দেওয়া বল সোজা স্টাম্পে গিয়ে আঘাত হানে। সাজঘরে ফেরার আগে ১১ বলে ১৪ রান করেছেন কিউই ওপেনার। 

মিরাজের পর উইকেটের দেখা পেলেন তাইজুলও। অফ স্ট্যাম্পের বাইরের ডেলিভারি টম ল্যাথামের ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় উইকেটের পেছনে। সেখানে দারুণ ক্যাচ তালুবন্দী করেন উইকেটকিপার নুরুল হাসান সোহান। পরপর দুই ওভারে মাত্র ২ রানের ব্যবধানে দুই ওপেনারকে হারাল কিউইরা। 

সর্বশেষ সাজঘরে ফিরেছেন হেনরি নিকোলস। ক্রিজ ছেড়ে মারতে গিয়েছিলেন নিকোলস। ঠিকঠাক মতো খেলতে পারেননি। মিড অনে দারুণ ক্যাচ নেন শরিফুল ইসলাম। মাত্র ১ রানেই ফিরেছেন কিউই এই ব্যাটার। 

এর আগে মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ঘূর্ণিঝড় মিগজিউমের প্রভাবে আকাশে মেঘ থাকায় এদিন শুরু থেকেই খেলা হয়েছিল ফ্লাডলাইটের আলোতে। ফ্লাডলাইটের আলোর নিচে টাইগার ব্যাটাররা রীতিমতো খাবি খেয়েছেন নিউজিল্যান্ডের স্পিনারদের সামনে।

ইনিংসের প্রায় পুরোটা সময় কিউই স্পিনত্রয়ীর বিপক্ষে সংগ্রাম করে গেছেন টাইগাররা। মাঝে মুশফিকুর রহিম নিজের খামখেয়ালিপনার কারণে আউট হয়েছেন অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ডের ফাঁদে পড়ে। মুশফিকের ওই এক আউট দিয়ে পুরো বাংলাদেশ ইনিংসের চিত্র চাইলে আঁকা যেতেই পারে। কেউ আউট হয়েছেন বড় শট খেলতে গিয়ে। আবার কেউ ফিরে গিয়েছেন রিভার্স সুইপ খেলার মতো সিদ্ধান্ত নিয়ে। এমন খামখেয়ালিপনার দিনে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে ১৭২ রানে।

টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ স্কোরার অবশ্য সেই মুশফিকই। করেছেন ৩৫ রান। আর কিউইদের হয়ে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন মিচেল স্যান্টনার আর গ্লেন ফিলিপস। 

এফআই