নান্নুদের হয়ে ব্যাট ধরলেন পাপন
বিজয় দিবসের ক্রিকেটে সরগরম ছিল হোম অব ক্রিকেটখ্যাত মিরপুরের শের-এ বাংলা স্টেডিয়াম। তাতে অংশ নিয়েছিলেন বাংলাদেশের সাবেক ক্রিকেটাররা। বিশেষ এই আয়োজনে অংশ নিয়েছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন। বিসিবি সভাপতির উপস্থিতিতে আজ আরও একবার উঠে এলো বিশ্বকাপ স্কোয়াডের আলোচনা।
নানান প্রশ্নের আলোচনায় বর্তমান নির্বাচক প্যানেলের হয়েই সাফাই গেয়েছেন বোর্ড সভাপতি পাপন। দেখে মনে হতেই পারে, নির্বাচকদের উপর আসা সমালোচনাকে ব্যাট হাতে উড়িয়ে দিয়েছেন নাজমুল হাসান পাপন। দল নির্বাচন নিয়ে সমালোচনার প্রশ্নে সাংবাদিককদের কাছেই প্রশ্ন করে বসেছেন ক্রিকেট বোর্ডের এই কর্তা।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বিসিবি সভাপতি পাপন বলেন, ‘দেখুন, আপনাদের জন্য বলছি আরকি। নির্বাচক প্যানেল বদলাতে পারে, এটা তো স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কথাটা হচ্ছে আমি আপনাদের বিশ্বকাপের আগে প্রশ্নগুলো করেছিলাম যদিও কেউ উত্তর পাঠায়নি। তাদের কাছে চেয়েছিলাম যে আপনাদের পছন্দের স্কোয়াডটা বলেন। নির্বাচকের কাজ যদি খেলোয়াড় নির্বাচন করা হয় আমি যেভাবে দেখি। ছোট তামিমকে (তানজিদ তামিম) খালি বাদ দেই। কারণ সেখানে তামিম ইকবালের যাওয়ার কথা। শেষ মুহূর্তে গিয়ে সে ওপেন করছে। এখানে গেছে লিটন দাস, শান্ত, সাকিব, মুশফিক,তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মিরাজ। আমি বোলারদের ধরলাম না।'
বিজ্ঞাপন
ব্যর্থতার এই বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে কাকে বাদ দেওয়া যেতে পারে এমন প্রশ্নই সাংবাদিকদের কাছে করেছেন পাপন, ‘কাকে বাদ দিলে আপনারা খুশি হতেন, আমাকে যদি একটা-দুইটা নাম বলতেন। আজ পর্যন্ত কেউ নাম বলে না। আর বলে নির্বাচক তার সব দোষ। কাউকে বাদ দেয়নি দেখেই দোষ। কাকে বাদ দিলে আপনারা বলতেন খুব ভালো হয়েছে। এই উত্তরটা না পেলে আমাদের জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া কঠিন।
পরিবর্তনকে একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হিসেবেও এসময় উল্লেখ করেছেন নাজমুল হাসান পাপন, ‘আমি যে জিনিসটা বলতে চাচ্ছি এটা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। পরিবর্তন হয়, অনেকদিন হয়েছে, সবসময় পরিবর্তন হওয়াটা ভালো। কাউকে অভিযোগ দিয়ে বাদ দেয়া, মিথ্যা অপবাদ দিয়ে বাদ দেয়া খারাপ নিদর্শন তৈরি করে।’
নির্বাচকদের পক্ষ নিয়ে পাপন বলেন, ‘আপনাদের এই জিনিসটা করার আগে একটা কারণ দেখাতে হবে, এই কারণে। কিন্তু আপনারা যে কারণগুলো বলছেন, শান্ত রান করতে পারেনি এটা ভিন্ন ইস্যু। সে আমাদের অন্যতম সেরা ব্যাটার। এটা তো অস্বীকার করার উপায় নেই, সে রান করে যাচ্ছিলো। লিটন দাসের সামর্থ্য আমরা জানি। সাকিবকে বাদ দিতো, মুশফিককে বাদ দিতো? মানে বাদটা দিতো কাকে। এই যে কথাগুলো বলে মানুষ, কিন্তু কেন এটা আর বলে না। কিন্তু সব দোষ নির্বাচকের।’
এসএইচ/জেএ